আগামী ১ জুন রাজ্যের ৯টি কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন হবে। তার মধ্যে কলকাতা উত্তর কেন্দ্র এখন নজরকাড়া। কারণ এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাপস রায়। এখান থেকে বহুবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে বেশ কয়েকবারের জয়ী হয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ,বৃহস্পতিবার তাঁর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সুদীপকে ভরিয়ে দিলেন প্রশংসায়। সুদীপকে পাশে নিয়ে অভয়বাণী দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বড় পদক্ষেপ নিয়ে বিজেপি যোগ দিয়েছেন এতদিনের তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক থাকা ক্ষুব্ধ তাপস রায়। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এবার তাঁর বাড়ির সামনে সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সুদীপদাকে শুধু শুধু জেলে ভরে রেখেছিল। কোনও কারণ ছিল না। তাঁর নামে এত খারাপ কথা বলেছে। কিন্তু কী লাভ হল? সুদীপদা নিজের জনপ্রিয়তায় সাংসদ হয়েছেন। আগামী দিনে সুদীপদা আর ভোটে দাঁড়াবেন কিনা জানি না। তাই বলছি, এবার আপনারা সুদীপদাকে ভোট দেবেন। কারণ, তিনি প্রথমদিন থেকে উত্তর কলকাতার এই মাটিকে ভালবেসে রাজনীতি করেছেন।’
আরও পড়ুন: রিজেন্ট পার্কের ফাঁকা ফ্ল্যাটে বৃহন্নলার রক্তাক্ত দেহ, রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ
এদিকে আজ তাপস রায়ের বাড়ির সামনেই সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে বউবাজারে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের সমর্থনে এই সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলনেত্রী চরম কটাক্ষ ছুড়ে দেন তাপস রায়ের দিকে। তাঁর বক্তব্য, ‘এখানকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আমি কিছু বলব না। চলে গেলে কেন? আমার পরিবারকেও তো নানাভাবে সমস্যা করে। এই সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ও তো জেলে গিয়েছিল। ইকনমি ক্লাস থেকে বিজনেস ক্লাসে গিয়েছিল বলে। কই দল ছেড়ে তো ও যায়নি। এই যে মদন মিত্র ওকেও জেলে পাঠিয়েছিল। যদি কিছুই না থাকে তাহলে তুমি চলে গেলে কেন?’ প্রশ্ন তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে তাপস রায়ের সমর্থনে আগামী ২৮ তারিখ কলকাতা উত্তরে রোড–শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলে সূত্রের খবর। তার পরেরদিন দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার আগে উত্তর কলকাতার এই মাটি থেকে আজ জনতার উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘বৃষ্টি হলেও কিন্তু ভোট দেবেন। ঝড় হলেও দেবেন। ভয় দেখালেও দেবেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব আপনি কেন চিন্তা করছেন! কিছু লোক আছে। কেউ তো কিছু বলবে। বলে যাক। যার যা ইচ্ছে বলে যাক। আপনার যা ইচ্ছা তা করে যান। তাহলেই দেখবেন ঈশ্বর ও আল্লা তেরে নাম সব কো সুমতি দে ভগবান। তিনবার জিতেছো মানে এটা ভেব না এবারও জিতবে। তখন আমার দলের প্রতীক ছিল। আমার কাছে খবর ছিল গত একবছর ধরে যোগাযোগ ছিল। আপনি সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন। উত্তর কলকাতার মানুষ আপনার জামানত বাজেয়াপ্ত করবে।’