মাস পেরোলেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন ঘোষণার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে কতগুলি করে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে তা জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি কতগুলি করে স্পর্শকাতর অঞ্চল রয়েছে তাও জানতে চেয়েছে কমিশন। জেলাশাসকদের বুধবারের অর্থাৎ আজকের মধ্যে তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
কমিশন জানতে চেয়েছে, ২০১৯ সালের তুলনায় স্পর্শকাতর বুথ ও স্পর্শকাতর অঞ্চলের সংখ্যা বেড়েছে কিনা। তারও রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পর্শকাতর বুথের উপর নির্ভর করেই ঠিক করা হয়ে কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে। সেই সঙ্গে কয় দফায় নির্বাচন হবে তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। সে কারণেই এই তালিকা চাওয়া হবে।
আরও পডুন: পুরনো ল্যাম্পের জায়গায় বসবে LED লাইট! ২.৯ কোটি টাকা দিল রাজ্য, কোথায় বসবে এবার?
ভোট এবং ভোটর পরবর্তী সময়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে 'সন্ত্রাস'-এর অভিযোগ তুলে বিরোধীরা। এর আগেও বিধানসভা নির্বাচন ও পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য সরব হয়েছে। সেই দাবির জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তবে লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী বহর বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণেই নির্বাচন কমিশন আগে ভাগেই স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকাগুলির তালিকা চেয়েছে।
আরও পডুন: অতিমারি অতীত! বিদেশে বেড়াতে প্রবল উৎসাহ কলকাতাবাসীর, ভিসার সুবিধাও বাড়ছে
তবে কমিশনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এটি রুটিন কাজ। প্রতিটি সাধারণের নির্বাচনের আগে এই ধরনের তথ্য নিয়ে থাকে। সে কারণে দিনক্ষণ ঘোষণা আগে বুথ সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে দেশের একাধিক রাজ্যে পর্যবেক্ষণের জন্য কমিশনের আধিকারিক যাচ্ছেন। তাঁদের এই সফর শেষ হওয়ার পর পরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে। জম্মু এবং কাশ্মীরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আগামী ৮ এবং ৯ মার্চ একটি বৈঠকে বসতে চলেছেন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষকর্তারা। ১২ এবং ১৩ মার্চ তাঁরা কাশ্মীরে যাবেন। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে এই মুহূর্তে নির্বাচন সম্ভব কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।