আজ, মঙ্গলবার ভোটগণনা চলছে গোটা দেশে। তবে বাংলার অধিকাংশ আসন এখন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যাচ্ছে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। যা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই মিলল। বাংলায় সবুজ ঝড় অব্যাহত। ৩০টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার মধ্যে অনেকগুলিই জিতে গিয়েছে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, বাংলা থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। কিন্তু গোটা দেশের চিত্রও বদল হয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি নরেন্দ্র মোদী। তাই আগামীকাল, বুধবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আজ গোটা বাংলায় ঘাসফুল ঝড়ে যখন পদ্ম সংকুচিত তখন সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও বিজেপি যে নোংরা রাজনীতি করছে সেই অভিযোগ তোলেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি গোটা দেশের ফল দেখেছি। এখন সব ফল সামনে আসেনি। তবে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই আমি ফোন করেছিলাম অখিলেশ যাদবকে। ফোন করেছি শরদ যাদব, কল্পনা সোরেন, অরবিন্দর স্ত্রী–সহ যাদের ফোনে পেয়েছি। আগামীকাল ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক আছে। সেখানে আমি যেতে পারব না। কারণ রাজ্যটাকে তো সিআরপিএফের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। তাহলে তো ওরা বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার করবে।’
আরও পড়ুন: আবারও সংসদে যাচ্ছেন মহুয়া মৈত্র, বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে কৃষ্ণনগর থেকে জবাব তৃণমূল প্রার্থীর
তাহলে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে কে যাবে? এই প্রশ্নের সটান জবাব দেন বাংলার নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি অভিষেককে অনুরোধ করব যেতে। কারণ ও তো দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে রেকর্ড গড়েছে। তাই ওকে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যেতে বলব। সব নেতা–নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে বলব। এবার আর ইডি–সিবিআই দিয়ে অত্যাচার করলে চলবে না। এখন আর নরেন্দ্র মোদী ইচ্ছা করলেই সংসদে বিল পাশ করাতে পারবে না। দেশের কোনও বিরোধী নেতা–নেত্রীর উপর যদি অত্যাচার হয় তাহলে দিল্লির বুকে আন্দোলন হবে।’
এছাড়া গতকাল বেশি রাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলে সূত্রের খবর। সেখানে এই বৈঠক নিয়ে কথা হয় দু’পক্ষের বলে জানা গিয়েছে। এবার নিজে যেতে না পারলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ঠিক হবে আগামী দিনের রণকৌশল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত নরেন্দ্র মোদীর। পদত্যাগ করা উচিত অমিত শাহের। এতটুকু লজ্জা থাকলে বাংলার মানুষের টাকা আটকে না রেখে ছেড়ে দেবেন।’