এবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের তামাম বিরোধীরা একমঞ্চে এসে তৈরি করেছিল ইন্ডিয়া জোট। আর তার উপর ভরসা করেই এবার লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। বিশেষ করে সব রাজ্যেই তারা এভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। কিন্তু ফলাফল কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে উদগ্রীব দেশের মানুষ। আর তার জন্যই এখন শুরু হয়েছে ভোট গণনা। যদিও বুথফেরত সমীক্ষায় এনডিএ’র প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। গণনা শেষে ফল উলটে যাবে বলেই তাঁদের মত। নিজেদের ভাবনা থেকে সরছে না কংগ্রেস–সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। আজ, মঙ্গলবার ইভিএম খুললে ফলাফল বিরোধীদের পক্ষে যাবে, এমন সম্ভাবনার কথা ধরে নিয়েই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তাঁরা।
এই আবহে গত ১ জুন শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনের দিন নয়াদিল্লিতে ডাকা হয়েছিল ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। তখন যেতে পারেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর হৃদয় সেখানে থাকবে বলে জানিয়েছিলেন। আগামীকাল বুধবার, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পরদিনই আবার নয়াদিল্লিতে বিরোধী জোটের বৈঠক ডাকলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এমনকী সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সোমবার বেশি রাতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন খাড়গে বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস সভাপতির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘নির্ভয়ে সংবিধান মেনে কাজ করে যান’, দেশের আমলাদের উদ্দেশে খোলা চিঠি খাড়গের
কংগ্রেস সভাপতি–সহ ইন্ডিয়া জোটের বেশিরভাগ নেতা–নেত্রী বিশ্বাস করেন এবার উলটে যাবে দেশের ফলাফল। তাই আগাম সব ব্যবস্থা রাখছেন তাঁরা। গত শনিবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অথবা তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি। কারণ ওই দিন বাংলার ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ–পর্ব ছিল। কিন্তু বৈঠক শেষে খাড়গে–সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেছিলেন, ইন্ডিয়া জোট অন্তত ২৯৫টি আসনে জয়ী হবে। যদিও প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষাই তৃতীয়বারের জন্য মোদী সরকার আসছে বলেই জানিয়েছে। যা মানতে নারাজ বিরোধীরা।
এই বুথফেরত সমীক্ষায় এমনও দেখানো হয়েছে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। যা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইরকম সুর শোনা যায়, রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে দেশের তাবড় বিরোধী নেতা–নেত্রীদের মুখে। ফলাফল উলটে যাবে এবং বুথফেরত সমীক্ষা মিলবে না বলেই সকলের দাবি। আর তাই এখন সবাই দেশের ফলাফলের দিকে নজর রেখেছেন। বিকেল বেলার মধ্যে গোটা দেশের চিত্র পরিষ্কার হয়ে যাবে। সোনিয়া গান্ধী সোমবার দাবি করেছেন, ‘মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরু হলে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল উল্টে যাবে।’