আজ, মঙ্গলবার ভোটগণনা চলছে গোটা দেশে। তবে বাংলার অধিকাংশ আসন কার কাছে যায় সেদিকেও নজর রয়েছে সকলের। বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। যা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। আর সেটাই মিলতে চলেছে। বাংলায় সবুজ ঝড় অব্যাহত। ৩০টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাতেই বোঝা যাচ্ছে, বাংলা থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। কিন্তু এখানে দুটি আসন খুব চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক—কাঁথি, দুই—তমলুক।
এই দুটি আসনের কথা বলা হচ্ছে কারণ এটা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়। সেখানে বিরাট মার্জিনে বিজেপি প্রার্থীদের এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে না। কখনও বিজেপি প্রার্থী এগোচ্ছেন তো কখনও পিছিয়ে পড়ছেন। আর সেখানে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। কাঁথি বরাবর শিশির অধিকারীর আসন ছিল। কংগ্রেসে থাকাকালীন এবং তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার সময়ও বারবার জয়ী হন তিনি। এবার তাঁর কনিষ্ঠ ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপির টিকিটে এখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু পিছিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উত্তম বারিকের থেকে। এই উত্তম বারিক পূর্ব মেদিনীপুরে সংগঠনের নেতা হিসাবেই পরিচিত।
আরও পড়ুন: বসিরহাটে রেখা–পাত করতে পারল না বিজেপি, ঘাসফুল ঝড়ে চওড়া হাসিতে হাজি
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে জোর লড়াই চলছে। বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। আর বিপরীতে আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাংশু ভট্টাচার্য যিনি কিনা তরুণ–তুর্কি নেতা। এই আসনে লড়াই চলছে সাংঘাতিক টক্করে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছেন না। তবে সামান্য ভোটেই এগিয়ে যাচ্ছেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থীই। সুতরাং এখনই বলা যাচ্ছে না কে জিতবে আর কে হারবে। এখন এই দুই লোকসভা কেন্দ্র কপালে ভাঁজ পড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। গড় যে আর রইল না সেটা বলাই যায়। কারণ গড় হলে সেখানে ক্লিন সুইপ হতো। সেটা যে হচ্ছে তা স্পষ্ট হয়েছে এখনই।
যদিও এখনই হারছে বলা যাচ্ছে না। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে এগোতে হচ্ছে বিজেপিকে। যা ভাবতে পারছেন না স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাঁকে আর দেখা যাচ্ছে না। বুঝতে পারছেন ঘাসফুল ও সবুজ আবিরে ঢেকেছে বাংলা। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ভরসা রাখলেন। বাংলায় যে বিজেপির জায়গা নেই তা আরও একবার প্রমাণ করল। আর যদি এই দুটি আসন বা একটি আসন বিজেপি থেকে হাতছাড়া হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসে তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে।