লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু বাকি শরিকদের সমর্থনে এনডিএ সরকার গড়ে উঠবে। এটা সত্যিই প্রকৃত এনডিএ সরকার। কারণ বিজেপি এখন সংখ্যালঘু। এই আবহে বাংলার দিকে তাকালে বিজেপি জিতেছে ১২টি আসন। আগের বারের থেকে ৬টি আসন কমেছে। আর বুধবারই নয়াদিল্লিতে আলোচনায় বসেছিলেন এনডিএ’র দলগুলির শীর্ষনেতারা। উচ্চপর্যায়ের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের অন্যতম প্রধান দুই শরিক চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমার। সেখানে সময় নষ্ট না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার গঠন করা উচিত বলে জানিয়েছেন নীতীশ। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। তারপরই কেন্দ্রে সরকার গঠন হবে। হিন্দি ভাষায় তিন অনুচ্ছেদে ‘আমাদের নেতা’ বলে উল্লেখ করে নির্বাচিত করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। বারাণসীর সাংসদ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইন্ডিয়া জোট বিরোধী আসনে বসবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর উপযুক্ত সময়ে যা করার করবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। এনডিএ’র বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বারবার নরেন্দ্র মোদীকে বলেছেন, তাড়াতাড়ি করুন। দ্রুত সরকার গঠন করার কথা বলেছেন নীতীশ। এই বিষয়ে নীতীশ কুমার বলেন, ‘কোনও সময় নষ্ট না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকার গঠন করা উচিত।’
আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি ছাড়া আর কিছুতেই আমার দক্ষতা নেই’, প্রদেশ সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়ে মন্তব্য অধীরের
অন্যদিকে নীতীশ কুমারের দল বিহার থেকে ১২টি লোকসভা আসন জিতেছে। তারা এনডিএ’কে সমর্থন করছে। এনডিএ জোটে আছে নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ) এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। আর এভাবেই তৈরি হতে চলেছে এনডিএ সরকার। এই সরকার গঠনের বিষয়ে নীতীশের বক্তব্য, ‘আমাদের সরকার গঠন করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই বৈঠকেই নীতীশ বলেন, ‘জলদি করিয়ে’। তবে এই বৈঠকে কে কোন মন্ত্রী হবেন সেটা আলোচনা হয়নি। নীতীশ কুমারের কথায়, ‘ক্যাবিনেট গঠন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে পরে বিষয়টি দেখা যাবে। সাত দফায় নির্বাচন হয়ে এখন সরকার গঠনের পালা।’
এছাড়া টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডুর দল ১৬টি আসন জিতেছে। তারাও বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে এনডিএ সরকার গড়ে তুলবে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ‘কিছু ইস্যু আছে বিজেপির অ্যাজেন্ডায় যাতে কয়েকজন নেতা মেনে নিতে রাজি হননি। তার জন্য বৃহত্তর আলোচনার প্রয়োজন।’ নীতীশ আর চন্দ্রবাবুর দল মিলিয়ে ২৮টি আসন পেয়েছে। যা দিয়ে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। এনডিএ’র মোট আসন সংখ্যা ২৯৩। সেক্ষেত্রে বিজেপির ৪০০ পারের স্লোগান শত যোজন দূরেই রয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের হাতে রয়েছে ২৩৪ আসন। সেক্ষেত্রে শক্তিশালী বিরোধী তৈরি হয়েছে দেশে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে গোটা বিষয় নিয়ে বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করব। মানুষের ইচ্ছাকে বিজেপি সরকার দ্বারা চালিত হতে দেওয়া হবে না।’