আজ, মঙ্গলবার ভোটগণনা শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা দেশে। তবে বাংলার অধিকাংশ আসন কার কাছে যায় সেদিকেও নজর রয়েছে সকলের। বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশি আসন পাবে বিজেপি। যা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কিন্তু এই আবহে দেখা যাচ্ছে মিলছে না সেই বুথফেরত সমীক্ষা। বরং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ছবিই কার্যত স্পষ্ট হচ্ছে। কারণ এগিয়ে পিছিয়ের নিরিখে বিজেপি আগের আসন সংখ্যা থেকে পিছিয়ে গেলেও তৃণমূল কংগ্রেস খুব বেশি এগিয়ে গিয়েছে এমন নয়।
এদিকে প্রাথমিক ট্রেন্ডিং বলছে বিজেপির থেকে বেশি আসন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ট্রেন্ডের উলটো কথা বলেছিল বুথফেরত সমীক্ষা। বিজেপি বেশি আসন পাবে বলা হয়েছিল। সেটা এখনও পর্যন্ত মিলছে না। তবে ভোটগণনা এখনও চলবে অনেকক্ষণ। সুতরাং ওলটপালট হতেই পারে। এখনও পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে ভাল এগোচ্ছে বিজেপি। আর উত্তরবঙ্গে ভাল এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস খাতা খুললেও দক্ষিণবঙ্গে কয়েকটি আসন হারাতে হচ্ছে। সেদিক থেকে দেখলে ২০১৯ সালের ছবিই এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে খুব কিছু পরিবর্তন এখনও চোখে পড়ছে না।
আরও পড়ুন: এগিয়ে চলেছেন মহম্মদ সেলিম, টানটান স্নায়ুর লড়াই গণনাকেন্দ্রে, মুর্শিদাবাদে সফল জোট
অন্যদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসন জিতেছিল। আর বিজেপি ১৮টি আসন জেতে। সেখানে এখন দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ২৪টি আসনে এগিয়ে আছে। এটা বাড়তেও পারে। আর বিজেপি আটকে রয়েছে ১৫টি আসনে। সেক্ষেত্রে এটাও পাল্টে যেতে পারে। এই এগিয়ে–পিছিয়ের অঙ্কে শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটা বলা কঠিন। তবে উত্তরবঙ্গে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস আধিপত্য দেখাতে শুরু করেছে তেমন দক্ষিণবঙ্গে দাপট দেখাচ্ছে বিজেপি। তবে জলপাইগুড়িতে এগিয়ে আছেন বিজেপির প্রার্থী জয়ন্ত রায়। নদিয়ায় এগিয়ে আছেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। বনগাঁয় এগিয়ে আছেন শান্তনু ঠাকুর। দার্জিলিংয়ে এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। আসানসোলে এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া। মালদা উত্তরে বিজেপি এগিয়ে। কিন্তু লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, বালুরঘাটে বেশ অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে সুকান্ত মজুমদার।
এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসও অনেক জায়গায় এগিয়ে। তবে সকাল থেকে কৃষ্ণনগর আসন থেকে পিছিয়ে ছিলেন মহুয়া মৈত্র। তবে এখন তিনি ১৭,৫৭৩ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন। তারপর আবার ১২ হাজার ৭০৯ ভোটে পিছিয়ে যান। বাঁকুড়ায় এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। যাদবপুর, বোলপুর, হুগলি, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, পুরুলিয়া, বসিরহাট, শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, বীরভূম, বোলপুর, কাঁথি, বারাসত, কোচবিহার, বর্ধমান–দুর্গাপুর, জয়নগর, দমদম– সহ অন্যান্য কেন্দ্রে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সামান্য ভোটে মেদিনীপুরে পিছিয়ে আছে ঘাসফুল শিবির।