লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু বাকি শরিকদের সমর্থনে এনডিএ সরকার গড়ে উঠবে। এটা সত্যিই প্রকৃত এনডিএ সরকার। কারণ বিজেপি এখন সংখ্যালঘু। এই আবহে বাংলার দিকে তাকালে বিজেপি জিতেছে ১২টি আসন। আগের বারের থেকে ৬টি আসন কমেছে। আর বুধবারই নয়াদিল্লিতে আলোচনায় বসেছিলেন এনডিএ’র দলগুলির শীর্ষনেতারা। একইরকমভাবে বৈঠকে বসেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। আর বৈঠকের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সক্রিয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। আর অখিলেশের সঙ্গে দেখা করার পরই অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে আসেন আম আদমি পার্টির দুই নেতা সঞ্জয় সিং এবং রাঘব চাড্ডা।
আম আদমি পার্টির নেতাদের সঙ্গেও কথাবার্তা হয় অভিষেকের। যদিও সব বৈঠকের পরই সেটা ‘সৌজন্য’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অখিলেশের বাড়িতে অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। অভিষেকদের স্বাগত জানাতে বাড়ির দুয়ার পর্যন্ত এগিয়ে আসেন অখিলেশ। কাঁধে হাত রেখে নিয়ে যান বাড়ির অন্দরে। অখিলেশের বাড়িতে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে বৈঠক। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে তৃণমূল কংগ্রেস একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। সেই প্রার্থী কেন হেরে গেল? সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন অভিষেক। যাতে আগামী দিনে ভুল শুধরে নেওয়া যায়।
এদিকে বাংলায় বিজেপিকে কোণঠাসা করার পর জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূল সুপ্রিমোও নিজে নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে না গিয়ে সুযোগ করে দিয়েছেন অভিষেককে। বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকেও বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছেন অভিষেক। বৈঠক শেষে অভিষেককে দেখে পিঠ চাপড়ে হাত মিলিয়ে অভিনন্দন জানান সুপ্রিয়া সুলে, ওমর আবদুল্লারা। সেই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সমাজবাদী পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতার আলাদা করে এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ‘জলদি করিয়ে’, এনডিএ সরকার গঠনে মোদীকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বললেন নীতীশ কুমার
অন্যদিকে বাংলার মতো আর একটি রাজ্যে বিরোধীরা বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছে। এই রাজ্যটি হল—উত্তরপ্রদেশ। যোগীরাজ্যে অখিলেশের সাইকেল এত জোরে চলেছে যে বিজেপি পিছিয়ে পড়েছে। অর্ধেকের বেশি আসন সেখানে খুইয়েছে বিজেপি। সুতরাং নয়াদিল্লিতে গুরুত্ব বেড়েছে সপা প্রধানেরও। সমাজবাদী পার্টি লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ৩৭টি আসন জিতেছে। তার পরেই রয়েছে ২৯টি আসন পাওয়া তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই দুই দলের পৃথক বৈঠক নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হচ্ছে। যদিও তাঁদের কথায়, ‘এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ’।