কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠন হয়নি। হতে চলেছে এনডিএ সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার প্রাক্কালে একটি আবেগপ্রবণ বার্তা পোস্ট করলেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ইউসুফ পাঠান। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেটা পোস্ট করেছেন তিনি। এবার লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর ছিল নজরকাড়া কেন্দ্র। কারণ একদিকে পাঁচবারের জয়ী সাংসদ তথা পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ অধীররঞ্জন চৌধুরী, অপরদিকে প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। এই কঠিন লড়াই জেতা খুব সহজ ছিল না। কিন্তু বহরমপুরের মানুষ পাঠানের উপরই ভরসা রেখেছেন। জয়ী ইউসুফ পাঠান।
এদিকে বাংলার অধিকাংশ মানুষজন ধরে নিয়েছিলেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হবেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু হিসেব কারও মেলেনি। বরং ইউসুফ পাঠানের গুগলিতে বোল্ড আউট হয়েছেন অধীর। আর এটাই সেদিন ছিল সবচেয়ে বড় খবর। এই নির্বাচনই প্রথম ইউসুফ পাঠানের জীবনে। তাই জয় নিশ্চিত ছিল না। সেখানে সমস্ত প্রতিকূলতাকে এড়িয়ে অবশেষে জয় নিশ্চিত হয় পাঠানের। ভরা বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় এবং কেন্দ্রে মোদী সরকারের জমানায় হারানো যায়নি অধীর চৌধুরীকে। এখন সেই আসনই ইউসুফ পাঠানের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সাংসদ ইউসুফ পাঠান নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বহরমপুরের এই সাংসদ জয়ের শংসাপত্র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বাবা। ভারতীয় ক্রিকেটে তিনি জনপ্রিয় নিজের খেলার জন্য। সেখানে এবার নতুন ইনিংস শুরু করলেন জীবনে। সেটা রাজনীতি দিয়ে। সেখানেও সফল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এটাই ছিল সব থেকে বড় চমক। ব্রিগেডের মাঠে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল তখনও কেউ জানতেন না ৪২টি লোকসভা আসনে চমক কোনটি। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নাম ঘোষণা করলেন তখনই একের পর এক চমক শুরু হল।
আরও পড়ুন: মেদিনীপুর উপনির্বাচনে দিলীপকে প্রার্থী করার পরিকল্পনা, বিরোধী দলনেতা করতে চায় আরএসএস!
এছাড়া ওই ছবি দিয়ে একটি বার্তাও দিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার বাবার সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের জয়ের শংসাপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। এই জয় এবং গর্ব ভারতীয় ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করার সমান। ক্রীড়া থেকে রাজনীতি, আমার মিশন হল সেবা করা এবং আমাদের জাতির উন্নতি ঘটানো। আমার বাবা খুব গর্বিত যে আমি এমন একটা সুযোগ পেয়েছি যেখানে আমি পার্থক্য করতে পারছি।’ ইউসুফ পাঠান ৮৫ হাজার ২২ ভোটে জিতেছেন। তাঁর মোট প্রাপ্ত ভোট ৫ লাখ ২৪ হাজার ৫১৬।