আজ, রবিবার প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই প্রচার তুঙ্গে উঠেছে। কারণ রাত পোহালেই চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ–পর্ব শুরু হবে। এই নির্বাচনে একদিকে প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে প্রচার করছেন বাংলায়। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রচারে। এই আবহে বিতর্কিত মন্তব্য করে অস্বস্তি বাড়ালেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। রাত পোহালেই তাঁর ভাগ্য পরীক্ষা হবে। তার আগে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিয়ে বিতর্ক বাঁধিয়েছেন অধীর।
আজ রবিবার সেই সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানান, আদানি এবং আম্বানি যদি তাঁকে টেম্পো ভর্তি টাকা পাঠান তাহলে তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে আর কোনও মন্তব্য করবেন না। এই বিতর্কিত মন্তব্য করার পরই বিজেপি তা নিয়ে প্রচার করতে নেমে পড়েছে। আসলে কংগ্রেস এবং তার নেতা রাহুল গান্ধী এখন আদানি ও আম্বানির নাম নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কেন তা করা হয়েছে? সেখান থেকে কি রাহুল গান্ধীকে টাকা দেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নই তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার প্রেক্ষিতেই এমন মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুন: অন্ডাল বিমানবন্দরে শাহের সঙ্গে কয়লা মাফিয়া! শশীর মন্তব্যে নির্বাচন কমিশনে বিজেপি
টেম্পো ভরা টাকা দিলে সেসব কোথায়? এমন প্রশ্ন করা হয় সাক্ষাৎকারে। জবাবে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষ। তাই আমার অর্থের খুব প্রয়োজন। গরিব হওয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অর্থের প্রয়োজন। তাই আমার টেম্পোর প্রয়োজন নেই। যদি আদানি এক ব্যাগ টাকা পাঠায় সেটা আমার জন্য যথেষ্ট।’ আপনি তো সংসদে তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলেন? জবাবে অধীরের স্পষ্ট বার্তা, ‘হ্যাঁ, আমি ওদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। কারণ ওরা তো আমাকে টাকা পাঠায়নি। যদি তাঁরা পাঠায় মানুষ শান্ত হয়ে যাবে।’
এইসব মন্তব্য প্রকাশ্যে করেছেন অধীর চৌধুরী টাইমস অফ ইন্ডিয়ায়। আর তার পরই রে রে করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অধীর প্রকাশ্যে এনেছেন আসল হপ্তা ভাসুলি মডেল কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটের। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনওয়াল বলেছেন, ‘উনি নিজে মুখেই স্বীকার করেছেন, ওরা যদি টাকা দেয় তাহলে সংসদে চুপ করে থাকবে। আর না দিলে সোচ্চার হবে। এখন রাহুল গান্ধীও চুপ করে গিয়েছেন ওই দু’জনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা থেকে। ইউপিএ জমানায় এভাবেই ১২ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছিল কংগ্রেস। তাই আইএনসি মানে আমি চাই দুর্নীতি। এটা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক তোলাবাজি। সংসদের ভিতরে–বাইরে তাঁরা যা বলেন সেটা টাকার জন্য।’