রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রমকে নিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা দাবি করেন, এই দুই ধর্মীয় সংগঠনের কয়েকজন সাধু সরাসরি রাজনীতি করছেন। এই আবসে আসানসোল মিশনের নাম করেন তিনি। আবার কার্তিক মহারাজের নাম নিয়েও তিনি তোপ দাগেন। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বিস্ফোরক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবার পালটা তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আজ সকালে মর্নিং ওয়াকের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিশন ও সেবাশ্রম নিয়ে করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। জবাবে দিলীপ বলেন, 'এই পাপই ডোবাবে তাঁকে।' (আরও পড়ুন: 'অনেক বাড়বে', সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ভোটের মাঝে ডিএ নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার)
আরও পড়ুন: খাড়গের 'হুঁশিয়ারির' পর অধীরকে এবার 'রামের বাড়িতে' আসার আহ্বান সুকান্তর
দিলীপ ঘোষ চাঁচাছোলা ভাষায় মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। কাকে কী বলছেন, ঠিক নেই। তিনি মৌলবীদের দিয়ে রাজনীতি করাতে পারেন, তাদের সঙ্গে নমাজ পড়ে তাদের ভোট নিতে পারেন... আর আমাদের সাধু সন্ন্যাসীদের রাজনীতি করা বারণ আছে নাকি? আজকে হিন্দু সমাজ বিপদে। হিন্দু সমাজের মহিলারা বিপদে। এ কথা তারা বলবেন না। সাধুরা সর্বস্ব ছেড়েছেন ধর্ম রক্ষার জন্য। তা নিয়ে তো তাঁরা বলতেই পারেন। এই ধরনের যে সংস্থাগুলির নাম তিনি বলছেন... তারা রাজনীতি করে না। তারা মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিকতা জাগিয়ে তোলেন আর সমাজ সেবার করেন। এই যে ধার্মিক সংগঠনের তিনি বদনাম করছেন, এই পাপই তাঁকে ডোবাবে।' (আরও পড়ুন: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, সঙ্গী ভ্যাপসা গরম, আজ কি কলকাতায় বৃষ্টি হবে?)
আরও পড়ুন: পুরনো রুটকে হারিয়ে নয়া নজির গঙ্গার নীচের মেট্রোর, পকেটে ঢুকল কয়েক কোটি
এর আগে মমতা বলেন, 'বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে... কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরেই আছেন। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না... সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছে।'
আরও পড়ুন: বাংলায় করোনার নতুন প্রজাতিতে আক্রান্ত ৩০, KP.2 নিয়ে তথ্য প্রকাশ সরকারের
এরপর মমতা আরও বলেন, 'কে কে এই সব করছে, আমি তাদের চিহ্নিত করছি। আমি রামকৃষ্ণ মিশকে কোন সাহায্যটা করিনি। সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি সমর্থন করেছিলাম আপনাদের। সিপিএম কিন্তু তখন আপনাদের কাজ করতে দেয়নি। আর আসানসোলে একটি রামকৃষ্ণ মিশন আছে... দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়। কেন সাধুরা এই কাজ করবেন? রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই সম্মান করে। ওদের যারা মেম্বার হয়, দীক্ষা নেয়, তারা আছে। তাদের আমি ভালবাসতে পারি। আমি দীক্ষা নিতে পারি। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন ভোট দেয় না কোনও দিনও। এটা আমি জানি। তা হলে আমি অন্যকে কেন ভোট দিতে বলব? মনে রাখবেন, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না, আপনাদের এই মেয়েটা যদি না থাকত।'