লোকসভা নির্বাচন গোটা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে। শাসক–বিরোধী সবপক্ষই জোরদার প্রচার শুরু করেছে। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ভোট আছে রায়গঞ্জে। তার আগে আজ, শনিবার সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর হয়ে সভা করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখান থেকেই অভিষেক জানান, কেন কৃষ্ণকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরও জানান, রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে দলীয় প্রার্থী জিতলে জুন মাসে এসে বিজয় মিছিল করবেন। তবে তিনটি আসনে প্রথম দফায় ভোট হয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি। সেখানে ২০১৯ সালে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। এবার তিনটে আসনেই জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ রায়গঞ্জের নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে ইটাহারে আজ অভিষেক একটি রোড–শো করেন। সেখানে বিপুল মানুষের ভিড় হয়। তবে সভা থেকে প্রথম দফার নির্বাচনের ফলাফল জানিয়ে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের বলছি, কাল উত্তরবঙ্গের তিনটি আসনে নির্বাচন ছিল। বাংলা বিরোধীদের ঘরে কাল আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির মা, বোন, ভাইরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে। ২৬ তারিখ আপনাদের সময়। তাই যে যে ভাষায় শিখবে, তাঁকে সেই ভাষায় শিক্ষা দিন। তিন লক্ষ ভোটে আমাদের জেতান। ৪ তারিখ ফল ঘোষণা। জুন মাসে এখানে আসব। আপনাদের সঙ্গে উদযাপন করব। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিজয় মিছিল করব। কথা দিলাম।’
আরও পড়ুন: ‘কেন সংসদে প্রশ্ন তোলেননি?’ খগেন মুর্মুকে নিশানা করে প্রসূনকে নিয়ে কথা দিলেন মমতা
অন্যদিকে বিজেপিকে তুলোধনা করেন অভিষেক। মানুষকে নিজের অধিকারকে সামনে রেখে ভোট দিতে আহ্বান করেন। বিজেপি জিতলে আর ভোট করতে দেবে না বলে জানান তিনি। অভিষেকের বক্তব্য, ‘আমাদের কম ভয় দেখায়নি। ইডি, সিবিআই থেকে শুরু করে ঘর, পরিবার, মা–বাবা, বাচ্চা কাউকে ছাড়েনি। তবু মাথা উঁচু করে লড়ছি। দিল্লির কুকুর হয়ে থাকার থেকে বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচব। ২৬ তারিখ মাথা উঁচু করে ভোট দিন। আমাদের প্রার্থী জেতার পর আপনাদের সেবা করবেন। কথা দিলাম। জানি না, শেষে বিজেপি নির্বাচনে জিতে গেলে এঁরা আর ভোট করতে দেবে কিনা। আপনার অধিকার বোঝার জন্য ২৬ তারিখ সুযোগ মিলবে।’ তাই গরম পড়লেও ভোট দিতে যেতে বললেন অভিষেক।
এছাড়া কেন কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করা হল? এই প্রশ্নের জবাব এদিনের সভা থেকে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের কথায়, ‘আমরা কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করেছি, কারণ ইনি বিজেপি থেকে এসেছিলেন। তারপরেই এঁর বাড়িতে আইটি তল্লাশি হয়। তারপরও তিনি মাথা নিচু করেননি। উনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। যিনি মাথা উঁচু করে লড়াই চালান, তাঁকেই নির্বাচিত করা উচিত। গত পাঁচ বছরে রায়গঞ্জের মানুষ তো এখানকার বিজেপি সাংসদের মুখ দেখতে পাননি। তিনি এবার দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী হয়েছেন। তার জবাব দক্ষিণ কলকাতার মানুষ দেবেন। ২০২১ সালের বিধানসভা দেখুন। রায়গঞ্জের ৯টি আসনের মধ্যে সাতটিতে জিতেছে তৃণমূল। পরে কৃষ্ণ কল্যাণীও সঙ্গে যোগ দেন। এখন আট। এই সব আসনে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম জিতলে কার লাভ হতো? কংগ্রেস গত পাঁচ বছরে কী করেছে?’