রাজ্যে এখন আছে ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে বাংলায় এসে পৌঁছবে আরও ১০০ কোম্পানি। সুতরাং সংখ্যা দাঁড়াবে ২৭৭ কোম্পানি। তার মধ্যে প্রথম দফায় তিনটি আসনের নির্বাচনে ২৬৩ কোম্পানি মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ শর্মা একটি চিঠি পাঠিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তবে নিরাপত্তার দেখভাল করবে রাজ্য পুলিশও। প্রথম দফার তিনটি কেন্দ্রে ১০ হাজারের বেশি রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। নানা জেলা থেকে নির্বাচনের অন্তত তিনদিন আগে পুলিশ উত্তরের কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছে যাবে।
এদিকে প্রথম দফায় বাংলায় তিনটি কেন্দ্রে ভোট হবে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার। এই তিন দফার জন্য ২৬৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি, জলপাইগুড়িতে ৮৮ কোম্পানি এবং আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হবে। ওই তিনটি কেন্দ্রের জন্য মোট ১০ হাজার ৮৭৫ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৫৭ জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবেন। আগামী ১৩ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত হবে প্রথম দফার বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনা। তার আগে তিন জেলার প্রশাসনিক অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করে বাস্তব পরিস্থিতি যাচাই করছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে পা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জোড়া সভায় তুলোধনা করবেন বিজেপিকে
অন্যদিকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার তিনটি কেন্দ্র মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ৫,৮১৪টি। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হলে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন হয়। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৩ সেকশন বাহিনী। কুইক রেসপন্স টিমে থাকবে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোচবিহারে ২৭ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে কুইক রেসপন্স টিমে। আর জলপাইগুড়িতে ২৮ সেকশন কুইক রেসপন্স টিমে মোতায়েন করার ভাবনা নির্বাচন কমিশনের।
এছাড়া রাজ্য যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা ঠিক করেছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে, রাজ্যের মোট ৫৬১৪টি বুথ, ৪টি স্ট্রং রুম এবং কুইক রেসপন্স টিমে মোতায়েন থাকবে ২৬৩ কোম্পানি আধাসেনা। লোকসভা নির্বাচনের দিন বুথ ছাড়া অন্য এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় ১০৮৭৫ জন রাজ্য পুলিশের অফিসারকে ব্যবহারের উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। আর দ্বিতীয় দফার তিন আসনে এখন থেকেই ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।