সামনেই লোকসভা ভোট। একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোটও হবে। বয়স্ক মানুষদের পক্ষে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থেকেই যায়। তবে এবার শুক্রবার ভারত সরকার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত আইন ১৯৬১-এর কিছু রদবদল করেছে। আগে পোস্টার ব্যালটে ৮০ বছর বয়স হলেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া যেত। এবার সেই বয়সটা বাড়িয়ে ৮৫ করা হয়েছে।
এদিকে পরিসংখ্য়ান বলছে, ৮০ বছরের উপর সিনিয়র সিটিজেন রয়েছেন প্রায় ১.৭৫ কোটি। আর ৮০-৮৫ বছর বয়সের মধ্য়ে যাঁরা রয়েছেন সেই সংখ্য়াটা হল ৯৮ লাখ। তবে নয়া নিয়ম অনুসারে এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্য়মে ভোট দেওয়ার জন্য কমপক্ষে বয়স হতে হবে ৮৫ বছর। সেক্ষেত্রে এবার বাকি ৭৭ লাখ প্রবীণ মানুষের কাছে পোস্টাল ব্যালট পৌঁছবে।
এদিকে বয়স্ক মানুষদের মধ্য়ে ভোট দেওয়ার প্রবণতা যথেষ্ট বেশি থাকে। এমনকী অনেকের আবার ভোট এলে বেশ খুশিই হন। কারণ অনেকের কাছেই ভোট দিতে যাওয়ার বিষয়টি হল বাইরে বের হওয়ার একটা বাহানা। সেক্ষেত্রে ভোট দেওয়ার প্রতি তাঁদের বাড়তি একটা আগ্রহ থাকে। তাছাড়া এটা একটা ধারণা করা হয় যে যাঁরা স্বাধীনতা দেখেছিলেন তাঁদের ভোট দেওয়ার প্রতি একটি আগ্রহ অতিরিক্ত থাকে। মানে দেশ গঠনের একটা ব্যাপার থাকে। তাছাড়া ভোট মানেই তো গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসব। সেই উৎসবে শামিল হতে চান অনেকেই। সেকারণেই দলে দলে তাঁরা ভোট উৎসবে শামিল হন। কিছুক্ষেত্রে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা এই ভোট উৎসবে শামিল হন। এটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
Conduct of Election Rules 1961-কে কিছুটা সংশোধন করে এই নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য় আগে সর্বনিম্ন বয়স ৮০ হলেই হত। এবার আর সেটা হচ্ছে না। এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য বয়স সর্বনিম্ন হতে হবে ৮৫ বছর। তবেই তিনি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
বলা হচ্ছে ৮০ বছর বয়সিরাও যাতে ভোট প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেটা দেখা হবে। তবে এই উদ্যোগের ফলে মনে করা হচ্ছে যে প্রবীণ নাগরিকরা ঘর থেকে বেরিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এতে ভোটদানের হারও বাড়তে পারে। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাঁরা সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারবেন।