নানা সময়ে নানা ধরনের ভিডিয়ো পোস্ট করে বিতর্ককে উসকে দিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। এবার ভোটের দিন একটা বিশেষ ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। আর স্বভাবতই সেই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে বিতর্ক একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। তিনি এই ভিডিয়োর ক্যাপশানে যে শব্দ ব্যবহার করেছেন তা নিয়েই চর্চা চলছে পুরোদমে। তিনি এক্ষেত্রে ‘লুঙ্গি ব্রিগেড’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এনিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
সেখানে অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের লুঙ্গি ব্রিগেড পুরো শক্তি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। কেশপুর, ঘাটালে বেরিয়ে পড়েছে। রাজ্য পুলিশ নীরব দর্শক। মনে হয় বাংলার হোম মিনিস্টারের নির্দেশে। কিন্তু মানুষ তৃণমূলের গুন্ডাদের আটকাচ্ছে। মানুষ দলে দলে ভোট দিতে বেরিয়ে আসছেন। সিএপিএফ সর্বত্র রয়েছে। রাজ্য পুলিশ কোথাও কোনও সহযোগিতা করছে না। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকাকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছে।’
সেখানে ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে একটি জায়গায় খড়ে আগুন জ্বলছে। বলা ভালো সেখানে আগুন জ্বালানো হয়েছে। আর তার সামনে লাঠি হাতে লাফাচ্ছেন এক ব্যক্তি। তিনি লুঙ্গি পরে রয়েছেন। তবে এই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন অমিত মালব্য। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
তবে এই ভিডিয়ো পোস্ট করতেই নেটনাগরিকরা নানা কথা বলছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন' পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কেন এই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে না? তারাই মানুষকে ভোট দিতে দিচ্ছে না। আর আপনারা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকছেন। তার মানেই আপনারা তাদের সমর্থন করেন।
অপর একজন লিখেছেন, সত্যি কথাই, বোঝা যায় না বাংলায় কী চলছে। ওখানে পুরো জঙ্গলরাজ চলে। অপর একজন লিখেছেন, এই ভোট মিটলেও ওরা তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রে, গুজরাটে, কর্ণাটকে চলে যাবে কাজ করতে। অপর একজন লিখেছেন, জেসিবি কোথায় গেল? কমিশনের উচিত সেগুলি ব্যবহার করা।
অপর একজন লিখেছেন কোথায় গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী?
বাস্তবিকই ভোটের ষষ্ঠদফায় একাধিক কেন্দ্রে অশান্তি ছড়ায়। গড়বেতার মংলাপোতা এলাকায় ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর উপর হামলা হয়েছে এদিন। মাথা ফেটেছে দেহরক্ষীর। মংলাপোতা এলাকার ২০০ নম্বর বুথে ভোট পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। সেই সময় বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক স্লোগান দিতে থাকে। সেই সময় বিজেপি প্রার্থী তাদের সাথে কথা বলতে গেলে উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ঘটনাস্থলে বিজেপি প্রার্থী চিকিৎসক প্রণত টুডুর গাড়ি ভাঙচুর হয়। মাথা ফাটে তাঁর এক দেহরক্ষীর।