রামকৃষ্ণদেব বলে গিয়েছিলেন, 'টাকা মাটি, মাটি টাকা'। এবার তাঁর সেই বাণীকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে রিপাবলিক বাংলার একটি ক্লিপ পোস্ট করেছেন তিনি, যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছ থেকে আমরা শিখেছিলাম, যত মাটি... যত মাটি, তত টাকা।' (আরও পড়ুন: ষষ্ঠীতে বাংলায় নির্বাচন ৮ আসনে, ২০২১-এর নিরিখে আসন ধরে ধরে কোথায় এগিয়ে BJP, TMC?)
আরও পড়ুন: বাংলায় পে কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে বড় আপডেট, আদালতে জোর ধাক্কা খাবে রাজ্য?
এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মমতাকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু। পোস্টে বিরোধী দলনেতা লেখেন, 'টাকা মাটি, মাটি টাকা - শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের এই চির প্রাসঙ্গিক বাণীকেও বিকৃত করতে ছাড়ছেন না মাননীয়া! বলছেন কিনা - যত মাটি, তত টাকা! অবশ্য বালি, চোর, অবৈধ নির্মাণের মদতকারী, জমি হাঙ্গরদের থেকে এর থেকে বেশি কি আর আশা করা যায়। বাংলার মূর্খমন্ত্রী থুড়ি মুখ্যমন্ত্রী।'
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই চড়া রোদ, তবে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে একধাক্কায় ৬ ডিগ্রি নামবে কলকাতার পারদ
এর আগে নির্বাচনের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলার অভিযোগ করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজকে বিঁধেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশনকেও 'কাঠগড়ায়' তুলেছিলেন। পরে অবশ্য সুর নরম করেছিলেন মমতা। তবে ১৮ মে তাঁর যে ভাষণ ঘিরে এই বক্তব্য, তাতে তিনি বলেছিলেন, 'সব সাধু এক হন না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে... কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরেই আছেন। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না... সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছে।'
আরও পড়ুন: 'বাড়তি' ডিএ দেওয়া মমতা কেন লুকোচুরি খেলছেন ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে?
এরপর মমতা আরও বলেছিলেন, 'কে কে এই সব করছে, আমি তাদের চিহ্নিত করছি। আমি রামকৃষ্ণ মিশকে কোন সাহায্যটা করিনি। সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি সমর্থন করেছিলাম আপনাদের। সিপিএম কিন্তু তখন আপনাদের কাজ করতে দেয়নি। আর আসানসোলে একটি রামকৃষ্ণ মিশন আছে... দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়। কেন সাধুরা এই কাজ করবেন? রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই সম্মান করে। ওদের যারা মেম্বার হয়, দীক্ষা নেয়, তারা আছে। তাদের আমি ভালবাসতে পারি। আমি দীক্ষা নিতে পারি। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন ভোট দেয় না কোনও দিনও। এটা আমি জানি। তা হলে আমি অন্যকে কেন ভোট দিতে বলব? মনে রাখবেন, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না, আপনাদের এই মেয়েটা যদি না থাকত।' তাঁর এই ভাষণের জেরে বেশ বিতর্ক হয়েছিল বাংলায়। সম্প্রতি কলকাতার রাস্তায় নেমে সাধুরা প্রতিবাদ মিছিলও করেছিলেন।