শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে জমি মাফিয়াদের হামলার ঘটনা নাকি 'পারিবারিক বিষয়'। এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই এবং তাঁর দলের কেউই এর সঙ্গে জড়িত নয়। তবে এই 'ক্লিনচিট' দেওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছিলেন, এই ধরনের কোনও হামলার ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগতই নন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম, ইসকনের মতো ধর্মী প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে 'দেশের সর্বনাশ' করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা। তাঁর সেই ভাষণের পরই শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের ওপর জমি মাফিয়াদের হামলা হয়। সেখানে মহারাজদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরবর্তীতে অবশ্য পুলিশ মহারাজদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: এখনও শেষ হয়নি ভোট, এর মাঝেই আরও একদফা ডিএ বাড়ল! নির্দেশ জারি অর্থ দফতরের)
আরও পড়ুন: 'এটা চাকরিজীবীদের অধিকার', মামলাকারী সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাল আদালত
আরও পড়ুন: দীর্ঘ কয়েক বছরের মামলা শেষে মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
মঙ্গলবার অশোকনগরে এক জনসভা থেকে মমতা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'কোনও জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে বা আশ্রমের উপর কোনও আক্রমণ হয়েছে বলে তো আমার জানা নেই। আমরা ওসব ঘটনা সমর্থনও করি না। তবে আমাদের কেউ তাতে জড়িত নয়। যদি খুঁজে বের করতে পারেন আমি কথা দিচ্ছি আমাদের যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব।' এরপর মমতা বলেন, 'আমার বাংলায় যদি কোথায় কোনও গন্ডগোল হয়, তাহলে আমি তো সেটা জানতে পারব। আমি তো জানতেই পারলাম না। আমাকে একজন সাংবাদিক বলল, সে নাকি নিজে খতিয়ে দেখেছে, এটা ওদের নিজেদের পারিবারিক ব্যাপার। অনেকেই জানেন, যে নানা ধর্মীয় কাজে জমি দেন বহু মানুষ। তারা কাজে লাগান। এটা এরকমই কোনও ব্যাপার। এরসঙ্গে রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।'
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ির শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের ‘সেবক হাউজ’এ আক্রমণ চালায় প্রায় ৩৫ - ৪০ জন দুষ্কৃতী। তাদের অনেকের হাতেই ধারাল অস্ত্র ও বন্দুক ছিল। সন্ন্যাসীদের নিগ্রহ করে তারা। ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। পালটা সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। মঙ্গলবার জানা যায়, রামকৃষ্ণ মিশনের করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে সমস্ত জামিনযোগ্য ধারা প্রয়োগ করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত প্রদীপ রায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মহারাজদের বিরুদ্ধে রুজু মামলায় প্রয়োগ করা হয়েছে একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারা।