পঞ্চম দফায় মতুয়া গড়ে ভোট রয়েছে। তার আগে সিএএ ইস্যু উঠে এসেছে রাজনৈতিক তরজায়। প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসছে। আর যদি ক্ষমতায় আসে তবে সিএএ তুলে দেওয়া হবে, এনআরসি তুলে দেওয়া হবে। অন্যদিক সিএএ-র পক্ষে রাজ্যে প্রচার করেছেন প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ বিজেপির হেভিওয়েট নেতার। এবার সিএএ নিয়ে সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি সিএএ-র সমর্থনে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষা আক্রমণ করলেন।
‘দেশবিরোধী কাজ’
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নড্ডা বলেন, ‘ভোটের জন্য দেশের সঙ্গে আপস করছেন উনি। যত অনুপ্রবেশকারী আছে তাদের সুরক্ষা দেওয়া,পরিচয়পত্র তৈরি করা রেশন কার্ড বানানো,তাদের ভোটার বানানোর কাজ তৃণমূল কর্মীরা করে। এটা দেশ বিরোধী কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য সব কিছু করতে পারে এরা। দেশের সঙ্গে গাদ্দারি করছে ক্ষমতার জন্য। ’ তাঁর কথায়, ‘সিএএ বাইরে থেকে আসা কাউকে দেওয়ার জন্য নয়। এটা কি মমতা বোঝেন না। তিনি এতটাই অশিক্ষিত? না উনি বোঝেন, জানেন।’
আর পড়ুন। 'এই পাপই ডোবাবে', রামকৃষ্ণ মিশন নিয়ে মমতার বিস্ফোরক মন্তব্যে পালটা তোপ দিলীপের
সিএএ নিয়ে প্রথম থেকে বিরোধিতা জানিয়ে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যুক্তি, কারও ভোটার কার্ড, আধার কার্ড যখন রয়েছে তখন তিনি নাগরিক। আলাদা করে নাগরিকত্ব দেওয়া কী প্রয়োজন।
‘নিঃশর্ত নাগরিকত্ব’
তবে ভোট প্রচারে গিয়ে কল্যাণীর সভা থেকে তিনি দাবি, সিএএ করতে হলে তা নিঃশর্ত হতে হবে। তবেই তিনি তা মেনে নেবেন। মমতার কথায়, ‘নিঃশর্ত সিএএ অধিকার দিলে দাও না হলে বিদায় নাও।’
আরও পড়ুন। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র ২০২৪: একদা বাম গড় এখন তৃণমূলের সেফ সিট
ভোট প্রচারের শর্তসাপেক্ষে সিএএ-র কথা শোনা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তিনি বলেন, ‘তিনি বলেন নোটিফিকেশন করে যদি ভারত সরকার বলে সিএএ-পর এনআরসি করব না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ-কে সমর্থন করবে আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুক ঢুকে বলে গেলাম।’
এ সবে মধ্যে নড্ডা সিএএ নিয়ে তৃণমূলকে একহাত নিলেন।
আরও পড়ুন। লখনউ লোকসভা কেন্দ্র ২০২৪: একদা সাংসদ ছিলেন বাজপেয়ী, এখন রাজনাথের খাসতালুক