জোট না হওয়ার জন্য আইএসএফের দিকেই আঙুল তুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর দাবি, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে বারবার যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু আইএসএফ বিধায়ক তথা দলের পক্ষে আসন সমঝোতার আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নওশাদ সিদ্দিকির থেকে কোনও উত্তরই আসেননি। খোদ বাম চেয়ারম্যান বিমান বসু তাঁকে ফোন করেন। সেলিমের দাবি, সেই ফোন ধরেননি নওশাদ।
ভাঙড়ের সভা থেকে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আসন সমঝোতা যখন শুরু হল। বামফ্রন্টে আলোচনা হল। কথা হল কংগ্রেসের সঙ্গেও। হোয়াটসঅ্যাপে তালিকা, তথ্য় সব পাঠানো হয়। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিমান বসু দু'মাস ধরে ফোন করেন। আমি নিজে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করি। কিন্তু কোনও জবাব, বার্তা আসেনি। অর্থাৎ মাঝখানে কেউ ছিল নিশ্চয়ই! হোয়াটসঅ্যাপে সব রেকর্ড রয়েছে।’
আরও পড়ুন। কেন্দ্রে কার সরকার, রাজ্য ক’টি আসন পাবে তৃণমূল, জামিন পেয়েই বলে দিলেন জীবনকৃষ্ণ
যদিও সেলিমের এই দাবি মানতে চাননি নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি পাল্টা তোপ দেগে বলেন, ‘এমন কোনও তথ্য থাকলে প্রকাশ করুন সেলিম সাহেব। আলিমুদ্দিন গিয়ে আমরা যাদবপুর চাই। কিন্তু তাতে ওপার বাংলার মানুষের কথা তুলে যে মন্তব্য করেন, তা সাংবাদিক বৈঠক করে বললে বুঝতে পারবেন। বসিরহাট কেন্দ্রটি চেয়েছিলাম আমরা, তাতে ১৯৫২ সাল থেকে তথ্য তুলে ধরে, প্রার্থীর পরিচয় নিয়ে যা বলেন, তা প্রকাশ করলে মুখ লুকনোর জায়গা থাকবে না।’
আরও পড়ুন। মমতার সভাতেও দেখা গেল না উত্তরপাড়ার বিধায়ককে,কল্যাণ-কাঞ্চন ফাটল কি চওড়া হয়েছে?
ডায়মন্ড হারবার সিদ্ধান্তের দায়ও নওশাদের ঘাড়ে ফেলেছে সিপিএম। তাদের দাবি, সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে নিজে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন নওশাদ। জোটের পক্ষ থেকেও তাঁকে সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি আইএসএফ বিধায়ক। অন্যদিকে নওশাদের দাবি তাঁকে ইচ্ছা করে ডায়মন্ড হারবারে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর দাবি, তাঁদের নিয়ে প্রথম থেকেই কংগ্রেসের আপত্তি ছিল। এবার সিপিএমও একই অবস্থান বুঝিয়ে দিল।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট হয়। কিছু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও সেই জোট লড়াই করে বিধানসভা নির্বাচনে। লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে আসন সমঝোতা নিয়ে মতভেদ আরও বাড়ে। অবশেষে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইএসএফ।