মিঠুন চক্রবর্তীর ভোট প্রচার মানেই নিত্যনতুন সংলাপ। সেই সংলাপ ভোটবাজারে হাততালি কুড়োলেও বাস্তবে সেসব আবার বিতর্কের জন্মও দেয়। তেমনি এবার মিঠুন হুগলিতে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে বাংলাকে কাংলা বলে উল্লেখ করেন। এরপর সেই কথাকে ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়।
প্রচারে বেরিয়ে মিঠুন নিজের একটি পুরনো সিনেমার গান ফের করেন। তিনি গান ধরেন, খেয়ে যে লাথি ল্যাং ভেঙে ওই গেল ঠ্যাঙ.. প্রচারস্থলে তখন বিশেষত যুব সমাজের মধ্যে চরম উন্মাদনা। তার মধ্য়েই তিনি বলেন, অনেকদিন আগে এই গানটা গেয়েছিলাম। আমি ভাবিনি এই গানটা বাংলার আজকের এই দিনের সঙ্গে এভাবে মিলে যাবে।
মিঠুন বলেন, আমাদের গড়া এই বাংলা আজ কেন হয়ে গেল কাংলা, যদি প্রশ্ন করেন বীর নেতাজি, কী তার জবাব দেব আমরা? এই পংক্তি বলার পরে বন্দেমাতরম ধ্বনি দেন মিঠুন। সেই সঙ্গেই তিনি জয়শ্রীরাম স্লোগানও দেন।
এদিকে বাংলাকে এভাবে কাংলা বলে কটাক্ষ করাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিগতদিনে তৃণমূলেই ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পরবর্তী সময় তিনি বিজেপিতে চলে আসেন। আর বর্তমানে তিনি সেই বিজেপির হয়ে প্রচার করছেন। নানা সময় নানা মন্তব্য করছেন। এবার একেবারে বাংলাকে কাংলা বলে উল্লেখ করলেন তিনি।
এদিকে এই সংলাপ শুনে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি দল বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ এর উত্তর দেবে।
তবে হুগলিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে ঘিরে একেবারে উপচে পড়া ভিড়। রাস্তার দুপাশে প্রচুর মানুষের সমাগম। ছাদে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা অভিনেতা মিঠুনের ভক্ত। তাঁরা সেই হিরোকে একবার কাছ থেকে দেখতে চান। সেকারণেই দলে দলে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে মিঠুনকে দেখা গিয়েছিল দই হাতে প্রচার করতে। এক হাঁড়ি ক্ষীর দই হাজির করা হয়েছিল মহাগুরুর সামনে। উল্লসিত বিজেপি। উল্লসিত মহাগুরু। তার মধ্য়েই সেই দই মাথায় তুলে নিয়েছিলেন মিঠুন। তবে এই ছবি দেখে অনেকেরই সেদিন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথা মনে পড়ে যায়। তিনিও হুগলির দইয়ের প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ ছিলেন।
আর সেই হুগলিতেই প্রচারে এলেন মিঠুন। তবে সেটা বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে। সেখানে এসেই সিনেমার গান,ডায়ালগে একেবারে সাড়া ফেলে দিলেন।