রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাধুনিন্দার অভিযোগে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবি করলেন, মমতার হুমকির পর উৎসাহিত হয়ে জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। এমনকী তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের ডেকে এনে আদিবাসীদের জমিতে বসাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশকারীদের নিমন্ত্রণ করে নিয়ে আসে আর বাঙালিদের ঘেন্না করে তৃণমূল: মোদী
পড়তে থাকুন: দিকে দিকে প্রতিবাদ, ‘ও একটা পাগলি’ মমতাকে বললেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী
এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘বাংলায় দাঙ্গা এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। আদিবাসী - ভাই বোনেদের পরিচয় শেষ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তৃণমূলের এসব নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। তৃণমূলের চিন্তা শুধু নিজের ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে। এরা অনুপ্রবেশকারীদের ডেকে নিয়ে আসছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বাঙালিদের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের দেশে এসে দলিত, আদিবাসীদের জমি দখল করে এরা। তৃণমূল – কংগ্রেস হাত মিলিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের জবরদখল করা জমি বৈধ করতে চায়।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ করে মোদী বলেন, ‘বাংলায় আপনাদের ধর্মবিশ্বাসে আক্রমণ করার দায়িত্ব নিয়েছে তৃণমূল সরকার। তৃণমূলের নেতারা বলে, রাম মন্দির অপবিত্র। আপনারা বলুন, রাম মন্দির অপবিত্র না তৃণমূল অপবিত্র? তৃণমূল সরকার রাম নবমী পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ফরমান জারি করে। তৃণমূলের গুন্ডাদের দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা করানো হয়। এখন তো এখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু সাধুদের হুমকি দিচ্ছেন।'
মোদী বলেন, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ বাংলার আধ্যাত্মিক পরিচয়। এখানকার মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে এই মহান সংস্থাগুলিকে ধমকাচ্ছেন। আর তাঁর ধমকে তৃণমূলের গুন্ডাদের সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে। শুনতে পেলাম, জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে গত রাতে ভাঙচুর হয়েছে। আশ্রমের কর্মচারীদের নিগ্রহ করা হয়েছে। তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাংলাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার? কখনও বাংলায় রামকৃষ্ণ মিশনকে হুমকি দেওয়া হবে, আশ্রমে ভাঙচুর হবে, কোনও দেশবাসী কখনও ভেবেছিলেন? কিন্তু নিজের ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে সব সীমা পার করে গিয়েছে তৃণমূল।’
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে চুপ করে থাকব না, ঈশ্বর ওনাকে চৈতন্য দিন: কার্তিক মহারাজ
নিজের জীবনে রামকৃষ্ণ মিশনের অবদান স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গোটা দেশ জানে আমার জীবন গড়তে রামকৃষ্ণ মিশনের কত বড় অবদান রয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে কত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আমার। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও রাতে থাকতে হলে রামকৃষ্ণ মিশন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে থাকি।’