মঙ্গলবার রাজস্থানে একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে ফের বিরোধীদের তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি এদিন অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের শাসনে সাধারণ মানুষ হনুমান চালিসাও শুনতে পারে না। তিনি বলেন, 'হনুমান চালিসা শোনাকে কংগ্রেস অপরাধ হিসেবে গণ্য করে।' উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে নমাজের সময় হনুমান চালিসা বাজানোয় মারধর করা হয়েছিল এক দোকানদারকে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। (আরও পড়ুন: রাজারামের ৫ লিঙ্কম্যান আছে কলকাতায়, সন্দেহভাজনদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ)
আরও পড়ুন: মোদীর 'মুসলিমদের সম্পদ পুনর্বণ্টন' অভিযোগের জের, পুলিশে এফআইআর করল সিপিএম
কী ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে? মুকেশ নামক এক ব্যক্তি নিজের মোবাইলের দোকানো সন্ধ্যায় হনুমান চালিসার রেকর্ড বাজিয়েছিলেন। সেই সময় এলাকার অনেকে নমাজ আদায় করছিলেন। এই আবহে স্থানীয় কয়েকজন যুবক এসে মুকেশকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মুকেশের দোকানে লাগানো সিসিটিভিতে গোটা ঘটনাটা ধরা পড়ে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল স্থানীয় থানায়।
আরও পড়ুন: 'গোয়ার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সংবিধান', দ্বৈত নাগরিকত্বের দাবি কংগ্রেস প্রার্থীর
রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল বেঙ্গালুরুর সিদ্দান্না গলি এলাকার জুম্মা মসজিদ রোডে। মুকেশের দোকানের নাম 'বর্ধমান টেলিকম'। মুকেশের অভিযোগ, গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় আচমকাই তাঁর দোকানে ৫ থেকে ৬ জন যুবক চড়াও হয়। হনুমান চালিসার রেকর্ড বাজানো নিয়ে তাঁরা আপত্তি তোলে। নমাজের সময়তে ভক্তিমূলক সঙ্গীত কেন চালানো হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হয় মুকেশের থেকে। এরপর বচসা শুর হয়। শীঘ্রই তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। মুকেশকে মাথায় মারা হয় স্পিকার দিয়ে। এর জেরে মুকেশ গুরুতর আহত হন।
মুকেশের অভিযোগ, এই যুবকরা তাঁকে বিগত দুই মাস ধরেই নানান ভাবে সমস্যায় ফেলছে। তাঁকে ভয় দেখিয়ে তোলাবাজিরও চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ মুকেশের। এদিকে মুকেশের আরও অভিযোগ, হালাসুরু গেট পুলিশ থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তা প্রথমে নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। এরপরে স্থানীয়রা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত যুবকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এফআইআর করে।