পালঘর লোকসভা কেন্দ্রটি মহারাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি লোকসভা কেন্দ্র। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রটি থেকে শিবসেনার পক্ষ থেকে রাজেন্দ্র গাবিত সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ছিল ১২ লক্ষ ২১৯৭ জন। গত লোকসভায় ভোটদানের হার ছিল ৬৩.৭৬ শতাংশ৷ মোট ভোটের ৪৮ শতাংশ পেয়ে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে রাজেন্দ্র, অন্যদিকে এই কেন্দ্র থেকে গতবারের লোকসভা নির্বাচনে বলিরাম শুকুর যাদব ৪১ শতাংশ ভোট পান বহু জন বিকাশ আঘাদি'র পক্ষ থেকে।
মহারাষ্ট্রের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এই লোকসভা কেন্দ্রটিতে ২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচন সংঘটিত হয়। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বলিরাম যাদব এই কেন্দ্র থেকে বহুজন বিকাশ আঘাদির পক্ষ থেকে জয়লাভ করেন। এরপর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি পক্ষ থেকে চিন্তামন ভানাগা জয়ী নন। ২০১৮-এর উপনির্বাচন এবং ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে রাজেন্দ্র গাভীর জয়লাভ করেন। বিধানসভা আসনের নিরিখে এই কেন্দ্রটির অন্তর্গত ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র হল দলনু, বিক্রমগড়, পালঘর, বোয়সর, নালাসোপাড়া ও ভাসাই। এর মধ্যে নালাসোপাড়া ও ভাসাই বিধানসভা বাদে বাকি চারটি বিধানসভা কেন্দ্রই তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত।
সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রগুলির মধ্যে বোয়সর, নালাসোপাড়া, ভাসাই কেন্দ্রে বহুজন বিকাশ আঘাদি জয়লাভ করেছিল। অন্যদিকে এমসিবির পক্ষ থেকে সুনীল ভুসারা বিক্রমগড় কেন্দ্রে জয়লাভ করেন। এছাড়া শিবসেনা পালঘর আসনটিতে জয়লাভ করে এবং সিপিআইএম দলনু আসনটিতে জয়লাভ করে। সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, এই কেন্দ্রে বহুজন বিকাশ পরিষদের একটি জনসমর্থন রয়েছে। এর পাশাপাশি শিবসেনার নির্দিষ্ট কিছু পকেটে জনসমর্থন রয়েছে। পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রটিতে নির্বাচন সংঘটিত হবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে ডক্টর হেমন্ত বিষ্ণু সাভারা এবং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকর)-এর পক্ষ থেকে ভারতী কামদি'র মধ্যে জোর টক্কর।