ভোট প্রচারে এর আগে একাধিকবার রাজ্যে এসেছেন। রাত্রিবাস করেছেন রাজভবনে। আজ ফের প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার পুরুলিয়া, বাঁকড়ুা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি সভা রয়েছে তাঁর। এবার আর তিনি রাজভবনে রাত কাটাবেন না। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠছে। তা নিয়ে সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নয়, ভিন্ন ভাবে রাজভবনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই পরিস্থিতে রাজভবনে রাতে না থাকার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের লক্ষ্যে রবিবার রাজ্যে তিনটি সভা করবেন মোদী। এর মধ্যে পুরুলিয়ার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতর সমর্থনে সভা করেছেন। বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার এবং বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে ওন্দায় সভা রয়েছে। এছাড়া সোমবার আর দুটি সভা রয়েছে তাঁর। রাতে থাকবেন কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে।
আরও পড়ুন। নির্যাতিতার উপর চাপ দেওয়া হয়েছিল, রাজভবনে শ্লীলতাহানি কাণ্ডে নয়া মোড়
কেন এই সিদ্ধান্ত বদল সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। এমনিতে রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি নির্দিষ্ট ঘর রয়েছে। তিনি রাজ্যে এলে ঘরটি তৈরি রাখা হয়। জানা গিয়েছে এবারও তৈরি রাখা হয়ছিল ঘরটি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাজভবনে না ওঠায় সেভাবে ব্যস্ততা নেই। জানা গিয়েছে সভা শেষ করে কলাইকুন্ডায় বায়ুসেনা ঘাটিতে রাত্রিতে থাকবেন তিনি। তারপর সকালে রওনা দেবেন প্রচার সভার জন্য। সভা শেষ করে উঠে যাবেন দিল্লি।
বিতর্ক এড়াতেই কি সিদ্ধান্ত?
প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তে জল্পনা ছড়িয়েছে, শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠার জন্যই কি রাজভবন এড়াচ্ছেন মোদী? ভোটের বাজারে তিনি কি রাজভবনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক কি এড়াতে চাইছেন।
ভোটের আবহেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলাকর্মী। অভিযোগকারিণী থানায় অভিযোগ জানালেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। তবে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজভবনে ঘটা ঘটনার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। রাজভবনের তিন কর্মীকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
আরও পড়ুন। আবাসনে জনসংযোগ, খোদ মমতা ফোনে কথা বলেন বাসিন্দাদের সঙ্গে
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ চাইলেও রাজভবন থেকে তা দেওয়া হয়নি। অভিযোগ ওঠার পর সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখান রাজ্যপাল। কিন্তু তারপর পুলিশ পূর্ত দফতরের কাছ থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করে। কারণ পূর্ত দফতর রাজভবনের দেখভালে দায়িত্বের রয়েছে। এই বিতর্কের মাঝেই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার তিনি আর রাজভবনে থাকছেন না।