ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন সময়ে উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। তৃণমূল ও আইএসএফের সংঘর্ষে দফায় দফায় সেখানে অশান্তি ছড়িয়েছে। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও হিংসা অব্যাহত রইল ভাঙড়ে। এবার তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন তৃণমূল কর্মী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কাশীপুর থানার মাঝেরহাট এলাকায়।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে আদিবাসীদের জমি জবরদখল করে অবৈধ নির্মাণ, শওকত ঘনিষ্ঠ নেতার নামে অভিযোগ
অভিযোগ, মাঝেরহাট এলাকার তৃণমূল কর্মীরা গ্রামের বাইরে একটি পিকনিকে খাওয়া-দাওয়া করতে গিয়েছিলেন। রাতে ফেরার সময় দু’জন তৃণমূল কর্মীর পথ আটকে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। বাকিদের গ্রামের ঢুকতে না দেওয়ার জন্য রাস্তায় জমায়েত করে আইএসএফ। আহত কর্মীদের জিরেনগাছা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়ে উত্তর কাশীপুর থানায় নিয়ে যান তৃণমূল নেতা লোকমান মোল্লা সহ দলীয় কর্মীরা। সেই সময় থানার সামনে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তখনই পুলিশ লাঠিচার্জ করে ফাঁকা করে দেয় এলাকা।
এই ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ তৃণমূল নেতা লোকমান মোল্লা সহ মোট দুজনকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। মাঝেরহাট এলাকায় অশান্তির খবর পেয়ে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনায় একজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ।
লোকমান মোল্লা জানান, আইএসএফের হামলায় দুজনের মাথা ফেটেছে। যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁর দাবি, তৃণমূল কর্মীরা লোকসভায় ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট করিয়েছে। নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে তাদের মারধর করেছে আইএসএফ। তারা এলাকা দখল করতে চাইছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের ।
অন্যদিকে, এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে আইএসএফ। তাদের পালটা দাবি, এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আরাবুল বাহিনী এবং শওকত বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে। সেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই এদিন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কোনওভাবেই আইএসএফ জড়িত নয়। তৃণমূল মিথ্যে আইএসএফের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। অন্যদিকে, কুলতলিতেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বাড়়িতে ঢুকে তৃণমূলের মহিলা সমর্থক এবং তাঁর মেয়েকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।