সম্প্রতি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলা সত্ত্বেও আমেঠি থেকে লড়তে অস্বীকার করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এহেন রাহুল এবার নিজের মায়ের ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলি আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন। এদিকে আমেঠি থেকে এবার আর গান্ধী পরিবারের কেউ লড়ছেন না। রিপোর্ট অনুযায়ী, কংগ্রেসের কিশোরী লাল শর্মা আজ সেই আসন থেকে মনোনয়ন পেশ করবেন। আজ সকালেই কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে রায়বরেলি এবং আমেঠির প্রার্থীর নাম জানানো হয়। এদিকে আমেঠিতে কিশোরীর মনোনয়ন পেশের সময় তাঁর সঙ্গে থাকবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সকাল ১০টা নাগাদ মনোনয়ন পেশ করবেন কিশোরী। এরপরে রায়বরেলি থেকে রাহুল গান্ধী মনোনয়ন পেশ করবেন বেলা ১২টা নাগাদ। সেই সময়ও প্রিয়াঙ্কা থাকবেন রাহুলের সঙ্গে।
এর আগে মনে করা হয়েছিল, সোনিয়ার ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলি থেকে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে কংগ্রেস নেতৃত্বের অনুরোধ সত্ত্বেও নাকি নির্বাচনী ময়দানে নামতে চাননি প্রিয়াঙ্কা। এদিকে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা নিজে আমেঠি থেকে লড়াই করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন সম্প্রতি। উল্লেখ্য, ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ সালে টানা তিনবার এই আমেঠি আসন থেকে জিতেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে ২০১৯ সালে আমেঠি থেকে হেরে গিয়েছিলেন রাহুল। এই আসন থেকে জিতেছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। তবে সেবারে কেরলের ওয়ানাড় থেকেও ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল। সেখান থেকে জিতে লোকসভায় পা রেখেছিলেন তিনি। এবারও ওয়ানাড় থেকে ভোটে লড়ছেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যেই তিনি সেখানে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি এবার রায়বরেলি থেকে লড়তে চলেছেন রাহুল গান্ধী।
এবারে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস। আমেঠি আসনটি কংগ্রেসকেই ছেড়ে দিয়েছে অখিলেশের দল। রিপোর্টে দাবি করা হয়, অখিলেশ চেয়েছিলেন রাহুল যাতে আমেঠি থেকে লড়াই করেন। তবে রাহুল তাতে রাজি হননি। তবে মায়ের রায়বরেলি আসনে লড়তে রাজি হয়েছেন রাহুল। প্রসঙ্গত, গতবার আমেঠি থেকে স্মৃতি ইরানি ৪৯.৭১ শতাংশ ভোট পান। আর রাহুল গান্ধী পেয়েছিলেন ৪৩.৮৪ শতাংশ ভোট। এর আগে ২০১৪ সালে রাহুলের বিরুদ্ধে এই আসনে বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। তবে সেবার তিনি হেরেছিলেন। সেবার রাহুল পেয়েছিলেন ৪৬.৭১ শতাংশ ভোট। আর স্মৃতি পেয়েছিলেন মাত্র ৩৪.৩৮ শতাংশ ভোট। তার আগে ২০০৯ সালে এই আসন থেকে রাহুল পেয়েছিলেন ৭১.৭৮ শতাংশ ভোট। আর ২০০৪ সালে রাহুল পেয়েছিলেন ৬৬.১৮ শতাংশ ভোট। এই দুই নির্বাচনেই আমেঠি আসন থেকে বিজেপি ছিল তৃতীয় স্থানে।
এদিকে রায়বরেলি আসন থেকে অতীতে ফিরোজ গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীরা সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫২ সাল থেকে এই আসনে মাত্র তিনবার হেরেছে কংগ্রেস - ১৯৭৭, ১৯৯৬ এবং ১৯৯৮ সালে। ২০০৪ থেকে টানা এই আসনে জিতে এসেছেন সোনিয়া গান্ধী। এই লোকসভা আসনের অধীনে থাকা পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে গতবার জয়ী হয়েছিল সমাজবাদী পার্টি। মাত্র একটি আসনে জিতেছিল বিজেপি।