এবারের ভোটে হাতেগরম ইস্যু সন্দেশখালি। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধ বার বার সুর চড়িয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গেই অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। এমনকী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ সহ একাধিক হাই প্রোফাইল বিজেপি নেতাও এই বাংলায় প্রচারে এসে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।
এদিকে এই আসন থেকে এবার ভোটে লড়ছেন রেখা পাত্র। খোদ প্রধানমন্ত্রী এই বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। এবারের ভোটে কার্যত খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে সন্দেশখালি। কিন্তু সন্দেশখালি শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে কতটা এগিয়ে দিতে পারবে সেটা জানার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
আগামী ১ জুন ভোট সন্দেশখালিতে। রবিবার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে বাদুড়িয়াতে সভা ছিল তৃণমূলের। সেই সভাতে বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিনের সভাতে সেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে আনেন অভিষেক।
অভিষেক সেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, বসিরহাট কেন্দ্রে শেষ দফায় ১ জুন ভোট। আর ভোটের ফলাফল বের হবে ৪ জুন। তবে মে মাসেই সন্দেশখালির প্রকৃত সত্যটা সামনে চলে এসেছে। তাই আমি মনে করি বসিরহাট কেন্দ্রের ফলাফল ৪ জুন নয়, মে মাসের ৪ তারিখে বেরিয়ে গিয়েছে।
তিনি সন্দেশখালির সেই ভাইরাল ভিডিয়োর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। সেই ভিডিয়োতে সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে দেখা গিয়েছিল। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। অভিষেক বলেন, সন্দেশখালির যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে সেখানে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি স্বীকার করেছেন সেখানে কোনও ঝামেলা হয়নি, ধর্ষণ হয়নি। তৃণমূলের কর্মীদের ফাঁসানোর জন্য় ছক কষা হয়েছিল। মহিলাদের ২ হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষণের মতো ভুয়ো অভিযোগপত্র থানায় জমা করানো হয়েছে। এভাবে বাংলার ৫ কোটি মহিলাদের অসম্মান করেছে বিজেপি।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সন্দেশখালি নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুটা ব্যাকফুটে গিয়েছিল তৃণমূল। তবে পরবর্তীতে সন্দেশখালি ইস্যুতে ড্যামেজ কন্ট্রোল অনেকটাই করে ফেলে ঘাসফুল শিবির।