রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে দুষ্কৃতীদের দ্বারা মহারাজদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রাবণ’ বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার পুরুল্যায় দলীয় প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা হলে তবেই রাজ্যে সাধু - সন্তরা সুরক্ষিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: মমতার হুমকির পর জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে হামলা হয়েছে, দাবি মোদীর
পড়তে থাকুন: ‘অশুভ শক্তি’র বিনাশের ডাক দিয়ে খালি পায়ে কলকাতার রাজপথে হাঁটবেন সাধু - সন্ন্যাসীরা
এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘গত কয়েকদিনে কয়েকজন পুলিশ সুপার পরিবর্তন করেছে। সেটা দেখে আশা করি বাকি পুলিশ সুপাররা শিক্ষা নেবেন ও নিরপেক্ষ আচরণ করবেন। আমরা চাই না বিজেপির হয়ে কাজ করুক। তারা নিরপেক্ষ থাকুক। বাকিটা বিজেপি বুঝে নেবে।’
এর পরই রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘রাবনের সরকার থাকলে তো সাধু - সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ হবেই। বাংলার মানুষকে সেটা বুঝতে হবে। রাবনের সরকারকে এখান থেকে উৎখাত করে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই সময় এসে গেছে। তাহলেই সাধু - সন্ন্যাসী - সনাতন রক্ষা পাবে।’
সুকান্তবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে মেরুকরণ করার জন্য এই সব কাজ করছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন তাঁর আসন টলোমলো। আর মুসলিমরা বুঝতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী তাদের বোকা বানিয়ে ভোট নিয়ে নেয় তার পর কাজের কাজ কিছু করে না।’
আরও পড়ুন: গভীর রাতে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে হামলা, সন্ন্যাসীদের নিগ্রহের অভিযোগ
রবিবার রাতে শিলিগুড়ির শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় উলটে ওই আশ্রমের সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে মমতার পুলিশ। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে এক সভা থেকে মমতা বলেন, ‘বিষয়টা আমার জানা নেই। তবে আমাদের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেব।’