এর আগেও প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। কিন্তু বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কে উত্তেজিত হতে দেখা যায়নি। তবে বুধবার দুবরাজপুরে প্রচারে বেরিয়ে মেজাজ হারালেন বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী। এক ভোটারের প্রশ্নে উত্তেজিত হয়ে তাঁকে ‘ইডিয়ট! ইডিয়ট’ বলতে শোনা গেল।
কী প্রশ্ন করেছিলেন ওই ভোটার যাতে এমন মেজাজ হারালেন প্রার্থী? ওই ভোটার কথায়, ‘আমি শুধু বলছিলাম, আপনি যে কাজগুলো করেছেন, তার কোনও প্রচার করেনি কেন তৃণমূল? উনি এই কথা শুনেই উত্তেজিত হয়ে পড়েলেন। আসল কথাটা শুনতে চাইলেন না। আমি মন্দির নিয়ে কিছু বলতে চাইছিলাম। ’
বুধবার দুবরাজপুরের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত মঙ্গলপুর গ্রামে খগেশ্বর শিবমন্দিরে পুজো দেন শতাব্দী রায়। সেখানে ওই ব্যক্তি তাঁকে প্রশ্ন করেন। হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রার্থী। ‘ইডিয়ট, ইডিয়ট, ইডিয়টের মতো কথা বলছ!’ বলতে শোনা যায় তাঁকে। তার পর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
ঘটনার পর গাড়িতে তাঁকে অন্য মেজাজে দেখা যায়। তিনি সাংবাদিকদের হাসতে হাসতে বলেন, ‘উনি বলছেন, জলের ট্যাঙ্কের জন্য যে টাকা দিয়েছিলেন, তা রাতের অন্ধকারেই নিয়ে গিয়েছে আবার। এটা তো হতে পারে না। এই সব টাকা তো ব্যাঙ্ক থেকে ব্যাঙ্কে ট্রান্সফার হয়। যাই হোক, আমি ওঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে নেব।’ তবে পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছিলেন কি না জানা যায়নি। তবে যাঁকে ধমক দিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি বলেন, ‘উনি দিদির মতো। বয়স্ক মানুষ। বকেছেন, আর কী করা যাবে।’
দিন কয়েক আগে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে শতাব্দী রায়। তাঁর পানীয় জল ও রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান একদল গ্রামবাসী। গাড়িতে বসেই গ্রামবাসীদের সব অভিযোগ শোনেন তিনি।
পরে গ্রামবাসীরা বলেন, বিদায়ী সাংসদ তথা বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সব সমস্যার সমাধান করবেন তিনি।
যদিও শতাব্দী রায় পরে দাবি করেন তাঁকে ঘিরে কোনও বিক্ষোভ হয়নি। তাঁর কাছে গ্রামবাসীরা কিছু আবদার করেছেন। সেই আবদার তিনি শুনেছেন।