ভাঙড়ে সভা করার অনুমতি না দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশকে চিটিংবাজ বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, তৃণমূলের সভার নামে অনুমতি দিতে পুলিশ অস্বীকার করলেও এদিন বিজেপির সভাস্থলের কাছাকাছি তেমন কোনও সভাই ছিল না। একই সঙ্গে ভোটের আগের রাতে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের বাড়িতে না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন - যে খেয়েছে তার পেট থেকে বার করে যার খেয়েছে তাকে ফেরত দেব, গ্যারান্টি দিলেন মোদী
পড়তে থাকুন - ভোট জিহাদিদের সাহায্য করতে OBC যুবার সংবিধানসিদ্ধ অধিকার লুঠ করেছে TMC: মোদী
বুধবার দুপুর ৩টে থেকে ভাঙড়ে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলায় শেষ মুহূর্তে সভা বাতিল করতে বাধ্য হয় বিজেপি। সভার অনুমতি না দেওয়ার কারণ হিসাবে পুলিশের তরফে বিজেপিকে জানানো হয়েছে, কাছেই তৃণমূলের সভা থাকায় আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। সভা বাতিল হলেও এদিন ভাঙড়ের সভাস্থলে পৌঁছন শুভেন্দুবাবু। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশ ভাঙড়ে আমাদের সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না বলে কমিশনের কাছে জানিয়েছিলাম। কমিশন জানিয়েছে, আইন – শৃঙ্খলার প্রশ্নে পুলিশ অনুমতি না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। পুলিশ আমাদের সভার অনুমতি বাতিল করে জানিয়েছে, ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূলের কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু এখানে কোনও মাইকের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। তৃণমূলের কাউকে দেখাও যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কতবড় চিটিংবাজ ও মিথ্যাবাদী এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে। ওরা চেয়েছিল আমি যেন খবরটা পেয়ে এখানে না আসি।’
ভোটারদের কাছে বিরোধী দলনেতার আবেদন, ‘আমি শেষ দফার ভোটারদের জানাতে চাই, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন। নির্বাচনে যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা উচিত, সে সুযোগ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পাচ্ছে না। ওরা ভেবেছিল বিরোধী দলনেতা সভা বাতিল হয়ে গেলে আর আসবেন না। কিন্তু জমির মালিকের NOC রয়েছে আমাদের কাছে। আমি আজকে সাংবাদিক বৈঠক করে শেষ পর্বের ভোটার ও পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে আবেদন করতে চাই এর বদলা আপনারা নেবেন।'
আরও পড়ুন - ভোট জিহাদ এগিয়ে নিয়ে যেতে সাধু - সন্তদের আক্রমণ করছে তৃণমূল, অশোকনগরে বললেন মোদী
ভোটারদের উদ্দেশে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘ভাঙড়সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার সবার কাছে আমার আবেদন, আপনারা নির্ভয়ে ভোটদান করুন। এবার অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। শুধু যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ২৫০টির বেশি QRT মোতায়েন হয়েছে। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ডান্টের নেতৃত্বে ৩টে করে QRT, মানে ২৭ জন জওয়ান থাকছে। ভোটের আগের দিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা QRT তৈরি থাকবে। কেউ হুমকি দিলে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের আপনারা বুথ নম্বরসহ জানাবেন।’