এবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখের ভাষা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার মহিষাদলে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘আগে হাঁ করে লোক শুনত। এখন দেখলেই বলে, চেঞ্জ কর, চেঞ্জ কর।’
রকে গিয়ে বসুন
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘এই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা দেখুন। সমর্থন করেন আপনারা? টিভিতে ঘুরিয়ে দেন। আমি দেখেছি। আগে হাঁ করে লোক শুনত। এখন দেখলেই বলে, চেঞ্জ কর, চেঞ্জ কর। সিরিয়ালে চলে যা। বাচ্চারা বলে, পোগো দেখব, একে দেখব না। এত কদর্য ভাষা... বলছে, রাম নবমী যারা করেছে তারা দাঙ্গা দিবস পালন করেছে। এটা হিন্দু? একটা জালি হিন্দু! মুসলমানদের কিচ্ছু দেয়নি’। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখে রকের ছেলেদের মতো ভাষা। আপনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে রকে গিয়ে বসুন।’
চিটিংবাজ IPAC
আবাস যোজনার নাম নথিভুক্তিকরের নামে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে IPAC প্রতারণা করছে বলে দাবি করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এখন বাড়ির ফর্ম বেরিয়েছে। ফর নিয়ে ঘুরছে। দেখবেন, ছাপাখানার নাম নেই। এই চিটিংবাজ আইপ্যাকের ছেলেগুলো যা নম্বর দিয়ে যাচ্ছে পরে স্যুইচ অফ বলবে। পাবেন না, চৌঠা জুনের পর এই নম্বর সব স্যুইচ অফ হয়ে যাবে’।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘এই চিটারগুলোকে আমি জানি। আমি তৃণমূল করতাম। খড়গপুর উপনির্বাচনে এই চিটিংবাজ আইপ্যাকের ছেলেগুলো যত জনকে নম্বর দিয়ে এসেছিল, কার ক্লাবঘর বানিয়ে দেবে, কার মন্দির বানিয়ে দেবে, কার পুকুর ঘাট বানিয়ে দেবে, কাকে চাকরি দেবে, ভোটের পরে সব স্যুইচ অফ করে দিয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম ওই চিটারগুলোকে, তোমাদের ফোন করে লোকে পায় না কেন? তুমি পাড়ায় গিয়ে নম্বর দিয়ে এসেছ। বলে, ওটা আমাদের সিস্টেম। আমরা নম্বর চেঞ্জ করে ফেলেছি'।
ডিসেম্বরেই ডকে
শুভেন্দু বলেন, 'এই চিটিংবাজগুলো এখন ফর্ম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বলছে, সই করে দেন। আপনার বাড়ি রেজিস্টার হয়ে গেল। কবে পাবেন টাকা, ডিসেম্বর মাসে। ততদিনে তো পিসি - ভাইপোকে আমরা ডকে তুলে দেব। থাকবেই না, এই ভোটের পরেই থাকবে না। আমার কথা না। নরেন্দ্র মোদীজির কথা। ধূপগুড়িতে তিনি বলে গেছেন, তৃণমূলের অর্ধেক চোরকে ঢুকিয়েছি। আর বাকি অর্ধেক চোরকে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ঢুকিয়ে দেব। মাফলার তো গেছে, এবার হাওয়ার চটির পালা। এই চিটিংবাজদের পাল্লায় পড়বেন না’।