বেলেঘাটা সিআইটি মোড়ে শনিবার এক জনসভায় বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে বক্তব্য রাখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভা থেকে তাপস রায়ে ‘উজ্জ্বল নক্ষত্র’ বলেন মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমি আজ এখানে এসেছি এমন একজনের সমর্থনে, যিনি এখনও পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে হারেননি। তাপস রায় সংসদীয় রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ার এবং জনগণের প্রতি নিষ্ঠা ও সেবার মানসিকতা তাঁকে সবার থেকে আলাদা করেছে।’
একদা বিরোধী দলে থাকা উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায়ে প্রতি বিরোধী দলনেতার প্রশংসা ছিল নজরকাড়ার মতো । শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘তাপস রায় একজন নির্ভীক নেতা, যিনি সবসময় জনগণের স্বার্থে কাজ করে এসেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বেলেঘাটা এবং আশেপাশের এলাকাগুলি উন্নতির নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।’
তাপস রায়ের রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘তাপস রায় শুধু একজন দক্ষ রাজনীতিকই নন, তিনি একজন সমাজসেবীও। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
আরও পড়ুন। বুথের ভিডিয়ো দেবাংশু পেলেন কী করে? তদন্তে কমিশন
তাপস রায়কে নিজের নেতা বলে উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, ‘একজন অভিজ্ঞ নেতার কলকাতায় খুব প্রয়োজন ছিল। এই প্রার্থীর সভাপতিত্বে আমি এক সময় রাজনীতি করেছি। ’
তাপস রায়ের সমর্থনে শুভেন্দু অধিকারীর এই সভা বিজেপি কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জাগিয়েছে। সভায় বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
বক্তব্যে সদ্য শেষ হওয়া ষষ্ঠ দফার ভোটের উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘তৃণমূলের গুন্ডারা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রকে শেষ করার জন্য সব চেষ্টা করেছে। আজ সব আসনে তৃণমূলকে হারিয়ে আপনাদের এখানে এসেছি। ওদের প্রার্থীদের কান্নাকাটি দেখেছেন? গরু পাচারের টাকায় দামি উপহার নেওয়া। এই তৃণমূলকে শেষ দফাতে দফা রফা করে দিতে হবে।’
আরও পড়ুন। ‘ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই,’ বিধায়ক ঊষারানিকে কড়া বার্তা দলনেত্রী মমতার
বক্তৃতার শেষ অংশে শুভেন্দু অধিকারী সকলকে অনুরোধ করেন, ‘তাপস রায়কে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। তিনি আপনাদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। আপনারা যদি তাঁকে সমর্থন করেন, তবে তিনি আপনাদের সেবা করতে পারবেন আরও কার্যকরভাবে।’
তাপস রায় নিজেও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আশ্বাস দেন যে তিনি তাঁদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাকে সমর্থন করেছেন এবং আমি আপনাদের উন্নতির জন্য কাজ করে যাব। আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।’
আরও পড়ুন। ‘জবাব দিলাম!’ ভোট দিয়ে, চোখের জল মুছে বললেন নন্দীগ্রামের রথিবালার মেয়ে