লোকসভা ভোটের শেষ পর্বের মনোনয়নের সময়সীমা শেষ হয়েছে মঙ্গলবারই। আর পরদিনই বসিরহাট ও কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সরব হল বিজেপি। বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম ও কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: 'TMC-তে ভোট দিচ্ছে, বিজেতিতে যাচ্ছে,' চতুর্থ দফা মিটতেই ইভিএম নিয়ে অভিযোগ মমতার
পড়তে থাকুন: গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
এদিন জগন্নাথবাবু বলেন, আমাদের বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী দেবাশিস ধর নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ায় তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছে। তাহলে বসিরহাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামেরও প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত। তাঁর নো ডিউজ সার্টিফিকেট দেওয়ার শেষ সময় ছিল ১৪ মে বিকেল ৩টে। কিন্তু তার মধ্যে ওই নথি নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে পারেননি তিনি। ফলে ওই কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী রেখা পাত্র তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
জগন্নাথবাবু বলেন, মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। যা অফিস অফ প্রফিটের আওতাধীন। ফলে ওই পদে ইস্তফা না দিয়ে লোকসভা ভোটের প্রার্থীপদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া যায় না। উনি ওই পদে থাকাকালীন কোনও বেতন না নিলেও তিনি লাভজনক পদে রয়েছেন বলেই বিবেচ্য হবেন। ফলে ওনার প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি করেছেন দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী।
আরও পড়ুন: একই কেন্দ্রে বিজেপির ২ প্রার্থীর মনোনয়ন, বারাসতে প্রকাশ্যে দলের গোষ্ঠীকোন্দল
লোকসভা নির্বাচনের মুখে পদত্যাগ করেন IPS আধিকারিক দেবাশিস ধর। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে শীতলকুচিতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ জন মুসলিমের। ওই ঘটনার পর দেবাশিসবাবুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে তাঁকে কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়ে দেয় নবান্ন। দেবাশিসবাবু চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলে গেরুয়া শিবির তাঁকে বীরভূমে শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে। কিন্তু নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা দিতে না পারায় তাঁর মনোয়ন বাতিল হয়ে যায়। তাঁর জায়গায় ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হন দেবতনু ভট্টাচার্য।