দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এখনও পর্যন্ত চারটে দফার ভোট শেষ হয়েছে, বাকি রয়েছে আরও তিনটি দফার ভোট। দেশজুড়ে প্রচুর ভোটকর্মী ভোটের কাজে যুক্ত। আর সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বাস ভাড়া নিয়েছে কমিশন। ভোটের কাজে এই সমস্ত বাস ভাড়া ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোট কর্মী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যাতায়াত এবং ভোটে ব্যবহৃত সরঞ্জাম বহনের জন্য এই সমস্ত বাস সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আগামী কলকাতায় ভোট গ্রহণ রয়েছে আগামী ১ জুন। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা সহ সংলগ্ন লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে ওই দিন। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের কাজের জন্য প্রচুর সরকারি ও বেসরকারি বাস তুলে নেওয়া হবে কলকাতা থেকে। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই ভোটের দিন শহরে বাসের অভাব দেখা দেব। ফলে শহরবাসীকে দুর্ভোগে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে দুর্ভোগ এড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে কি না তা নিয়ে অবশ্য কোনও আশ্বাসবাণী শোনাতে পারল না রাজ্য পরিবহণ দফতর।
আরও পড়ুন: বাস ভাড়ার তালিকা টাঙাতে নির্দেশ পরিবহণ দফতরের, চাপে পড়ল বাসমালিক সংগঠন
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন ভোটের কাজের জন্য প্রচুর সরকারি-বেসরকারি বাস তুলে নিয়েছে। তবে এখনই সঙ্গে সঙ্গে নতুন বাস কিনে বিকল্প যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ নতুন বাস কেনার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই সময় লেগে যায় কয়েক মাস। ফলে এই অবস্থায় পরিবহণ দফতরের কিছু করার নেই। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই ভোটের দিন যে শহরবাসীকে নাকাল হতে হবে তা নিয়ে আর বলার অপেক্ষা থাকল না।
প্রসঙ্গত, মহানগরে শুধু কলকাতার বাসিন্দায় নয়, প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা এবং রাজ্যের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। কলকাতায় তাদের যোগাযোগের মূল মাধ্যম হল এই বাস। এই অবস্থায় নির্বাচনের কাজের জন্য বাস তুলে নেওয়া হলে সেক্ষেত্রে চলতি মাসের শেষের দিকে এবং আগামী মাসের শুরুর দিকে কলকাতায় বাসের অভাব দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি।
পড়ুনঃ অর্ধেক কমে যেতে পারে কলকাতার বেসরকারি বাস, অফিস যাবেন কীভাবে? মাথায় হাত!
যদিও বর্তমানে নতুন কিছু বাস কেনার প্রক্রিয়াতে রয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে ইতিমধ্যে কিছু বাস চলে এসেছে। আরও কিছু বাস কয়েকদিনের মধ্যে চলে আসবে। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে যাত্রীদের যাতায়াতে সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।