মাত্র দুটি ভোট। আর বাড়িতে গিয়ে সেই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বেলেঘাটা। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে। সেই অভিযোগ তুলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল বিজেপি। দুপক্ষের মারামারি হাতাহাতিতে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেলেঘাটা মেন রোড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল–বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত ক্যানিং, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ঝরল রক্ত
জানা যাচ্ছে, মূলত একজন বয়স্ক নাগরিক এবং একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নাগরিকের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে এদিন ঝামেলা বাঁধে। নির্বাচন কমিশনের তরফে এই দুজনের বাড়িতে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দুপুরে সেখানে পৌঁছন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল পুলিশ। তবে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের যাওয়ার কিছু পরেই সেখানে পৌঁছয় বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূল কর্মীরা আগে থেকেই সেখানে ছিল। তবে অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের এলাকা ঢুকতেই তৃণমূলের কর্মীরা তাদের বাধা দেয়।
বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। পালটা বিজেপিও বিক্ষোভ করে। ঠিক সেই সময় ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তখন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল- বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তাতে ছিলেন মহিলা কর্মীরাও। ঘটনায় তৃণমূলের দাবি, তাদের তিন জন মহিলা কর্মী আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি বাইরে থেকে লোক নিয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই এলাকার মানুষই তার প্রতিবাদ করেছে। তৃণমূলের সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি।
অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, মাত্র দুটো ভোট নিয়ে তৃণমূল এরকম অশান্তি করছে। তাহলে ভোটের দিন কি হবে? এই ঘটনায় বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবে। যদিও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হল ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভোটাররা জানান, তারা নিশ্চিন্তে ভোট দিয়েছেন। সংঘর্ষের আঁচ তারা পাননি।