বীরভূম থেকে চতুর্থ বারের জন্য লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী তথা বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারকে ঘিরে প্রথম থেকেই স্থানীয়দের একের পর এক বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। আর প্রচারের শেষ লগ্নেও তার অন্যথা হল না। শেষ দিনও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শতাব্দী রায়। তবে বিক্ষোভের মুখে পড়লেও স্থানীয়দের দাবি, বিদায়ী সাংসদ তাদের কথা শুনতেই পেলেন না।
আরও পড়ুন: প্রচারে ফের শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ, দেখে নেওয়ার হুমকি প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীর
নির্বাচনী প্রচারে এর আগেও শতাব্দী রায় ক্ষোভ বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। কখনও তিনি মেজাজ হারিয়েছেন, আবার কখনও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও স্থানীয়দের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আর এবার মহম্মদ বাজার ব্লক এলাকার মগদমনগর গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়তে হল সেই শতাব্দী রায়কে।
এদিন গ্রামে তাঁর প্রচার মিছিল ঢুকতেই কার্যত গাড়ির সামনে ছেঁকে ধরেন গ্রামবাসীরা। তখন শতাব্দী রায় গাড়ির দরজা খুলে পা-দানিতে দাঁড়িয়ে জনসংযোগ করছিলেন । এরপরই স্থানীয়রা একাধিক সমস্যার কথা জানিয়ে সাংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পানীয় জলের সমস্যা, এলাকায় উন্নয়ন, খারাপ রাস্তাঘাট প্রভৃতি সমস্যা নিয়ে শতাব্দী রায়ের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মহিলারা।
পরে স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আমরা খুব কষ্ট রয়েছি। আমাদের এখানে পুকুর নেই, জলের সমস্যা রয়েছে, আবার নালাও নেই। বৃষ্টি হলেই ডুবে যায়। একটি মাত্র কল রয়েছে। সেটি খারাপ হলে আমরা কোথায় যাব? মাঝেমধ্যে যখন কল খারাপ হয়ে যায় তখন আমরা এর ওর মোটর থেকে জল নিয়ে আসি। তখন আমাদের কথা শুনতে হয়। এনিয়ে দিদিকে বললাম। কিন্তু, দিদি আমাদের কথা শুনতেই পেলেন না।’ তাঁর কথায়, যদি দিদি কিছু সাহায্য করেন তাহলে এখানকার সমস্ত মানুষের খুব উপকার হবে।
গ্রামের অন্য এক মহিলা বলেন, ‘দিদিকে আমাদের সমস্যা কথা বলতে গেলাম কিন্তু দিদি আমাদের কথা কিছুই শুনতে পেলেন না। সরকারি সুবিধা বলতে শুধু লক্ষ্মী ভাণ্ডার পেয়েছি, এছাড়া অন্য কোনও সুবিধা আমরা পায়নি।’
অন্যদিকে শেষ দিনের প্রচার সম্পর্কে শতাব্দী রায় বলেন, ‘খুব ভালো প্রচার হচ্ছে মানুষ উচ্ছ্বসিত, অনেক ভালোবাসা দিচ্ছে।’ বিক্ষোভ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। ওরা যা যা চাইছেন, যা যা সমস্যা রয়েছে সেগুলি দেখব। আগামী দিনে সেগুলিতে কাজ করার চেষ্টা করব। তাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।’