একের পর এক স্টিং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার ধারার মধ্যেই সন্দেশখালিতে নতুন করে ছড়াল উত্তেজনা। রবিবার সেখানে তৃণমূল নেতা দিলীপ মাল্লিককে ব্যাপক মারধর করলেন বিজেপি সমর্থক মহিলারা। মহিলাদের মারের মুখে পড়লেন দিলীপবাবুর এক অনুগামীরও। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ভয় দেখিয়ে মিথ্যা বয়ান রেকর্ড করেছে দিলীপ মল্লিক।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে, সন্দেশখালির পিপড়াখালি ফেরিঘাটে ঘাটের ইজারাদারের ঘরে ডাকাতি হয় বলে অভিযোগ। চলে গুলি। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করেন ঘাটের ইজারাদার। সেই ঘটনায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ১ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ছেদ করতে চাওয়ায় দিনে - দুপুরে নাবালিকা প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করল প্রেমিক
পড়তে থাকুন: মে-র শেষে সাইক্লোনের শঙ্কা, আমফানের পথ ধরেই ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল
বিজেপির দাবি, গোটা ডাকাতির ঘটনা সাজানো। এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর চাপ তৈরি করতে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। বিজেপির সঙ্গে ডাকাতির কোনও সম্পর্কই নেই। যে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে সে নির্দোষ।
দলীয় কর্মীর মুক্তির দাবিতে রবিবার দুপুরে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলারা। এরই মধ্যে একদল মহিলা লাঠি হাতে পৌঁছে যান সন্দেশখালি লাগোয়া খুলনা এলাকায়। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের সমর্থনে একটি পথসভা চলছিল। পথসভায় হাজির ছিলেন তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক ও বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। দিলীপ মল্লিকই ভাইরাল ভিডিয়ো বানিয়ে ছড়িয়েছে বলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলারা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন সুকুমার মাহাতো ও দিলীপ মল্লিক। সেখান থেকে দিলীপবাবুকে টেনে বার করে লাঠিপেটা করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। কিল-চড়- ঘুসি কিছুই বাদ যায়নি। দিলীপবাবুর এক অনুগামীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা দাঁড়িয়ে দেখে পুলিশ।
এই ঘটনায় সুকুমারবাবু জানিয়েছেন, ‘আমাদের একটা ছোট সভা চলছিল। সেখানে বিজেপি পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। এটাই ওদের সংস্কৃতি।’
আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন BJPতে, জুটছে পদে পদে অপমান, দাবি দেবাশিস ধরের
পালটা বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, অত্যাচারীর শেষ মানুষের হাতেই হয়। যারা অনুজ পাণ্ডের বাড়ি ভাঙচুর করেছিল তারা যে এই জনরোষের প্রতিবাদ না করে’।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘দিলীপ মল্লিকই সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। তাঁর নির্দেশ মতো কথা না বললে বাড়িছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।’