তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের ‘অপরাধে’ কান কেটে নেওয়া হল এক ব্যক্তির। তাঁকে এবং তাঁর ভাইকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই ব্যক্তির কান কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমানে তিনি তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারধরে পা ভেঙেছে তাঁর ভাইয়েরও।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর বিধানসভার ইসলামপুর গ্রামে এই ঘটনা হয়েছে। আহত বিজেপি নেতা সুব্রত বাগ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে আমরা তৃণমূল করতাম। এখন বিজেপি করি। দীর্ঘদিন ধরে ঘরছাড়া ছিলাম। সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছি। মঙ্গলবার রাতে আমাদের বাড়িতে হামলা হয়। আমার কান কেটে দিয়েছে। ভাইয়ের হাত ভেঙেছে।’ মারধরে সুব্রত ভাই শুভঙ্কর ধর আহত হয়েছে। তার পা ভেঙে গিয়েছে।
আগে দুই ভাই তৃণমূল করতেন। পরে তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তার পরপরই তাঁদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী। ভয়ে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ভোটের আগে তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন।
আরও পড়ুন। ‘অনুপ্রবেশকারীরাই TMC-র ভোটব্যাঙ্ক,’ CAA থেকে দুর্নীতি, বনগাঁয় শাহের নিশানায় মমতা
আরও পড়ুন। ভোট মিটতেই বীরভূমে উড়ল সবুজ আবির, মিষ্টিমুখ-বাজল ঢাক, বিজয় মিছিল তৃণমূলের
মঙ্গলবার রাতে পাশের বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁদের পথ আটকায় তৃণমূল নেতা বিকাশ বাগ সহ একদল দুষ্কৃতী। তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তাঁর পর দুষ্কৃতীরা মারধর করতে শুরু করে। ছুরি চালিয়ে কান কেটে নেওয়া হয় শুভঙ্করের বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারা হয় তাঁর ভাইকে। মারের চটে পায়ের হাড় ভেঙে যায়। সেই সময় বিজেপি সমর্থকরা দৌঁড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তাঁদের উদ্ধার করে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূলে নেতৃত্বের মতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই হামলা। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতা বিকাশ বাগের নেতৃত্বেই এই হামলা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পুলিশ কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশে অভিযোগ দায়েরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন। ভোটের সাতকাহন- ও কিছুই জানে না, মেকআপ দিয়ে মেকওভার হয় না, রচনাকে বার্তা লকেটের