রাজ্যে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল সরকার। বর্ধমানে ভোটপ্রচারে এসে এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুঁ কবিরের একটি ভাষণকে হাতিয়ার করে এদিন তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। সন্দেশখালি ইস্যুতেও বেঁধেন শাসকদলকে।
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলেন রাজভবনের কর্মী
পড়তে থাকুন: সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তও করতে পারবে না পুলিশ
তৃণমূলকে আক্রমণ মোদীর
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কাল টিভিতে দেখলাম, এখানে বাংলায় তৃণমূলের এক বিধায়ক প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলছিলেন, হিন্দুদের ২ ঘণ্টায় ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেব। এটা কী ধরণের ভাষা? কী ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি? হিন্দুদের ভাসিয়ে দেবে? সত্যিই, কী হাল হয়েছে! বাংলায় হিন্দুদের সাথে কী হচ্ছে? মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূলের সরকার দ্বিতীয় স্তরের নাগরিক করে রেখছে’।
নাম শেখ শাহজাহাঁ বলেই কি?
সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এদের জয় শ্রী রাম বললে সমস্যা। জয় শ্রী রাম বললে ওদের জ্বর আসে। এদের রাম মন্দির তৈরিতে সমস্যা। এদের রামনবমীর শোভাযাত্রায় সমস্যা। আমি আজ তৃণমূল সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই এখানে সন্দেশখালিতে আমাদের দলিত বোনেদের সাথে এত বড় অপরাধ হল গোটা দেশ পদক্ষেপের দাবি তুলেছিল। কিন্তু তৃণমূল অপরাধীকে বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল। তা কি শুধু এইজন্য যে অপরাধীর নাম ছিল শাহজাহাঁ শেখ?’
আরও পড়ুন: ৩০ শতাংশ লোক মসজিদ ভাঙলে ৭০ শতাংশ লোক চুপ করে বসে থাকবে না, বললেন তৃণমূল বিধায়ক
সম্প্রতি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুঁ কবিরের একটি ভাষণ ভাইরাল হয় তাতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথিতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে রামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি’।হুমায়ুঁ কবিরের দাবি, হিন্দুদের নয়, বিজেপিকে উদ্দেশ করে কথাগুলি বলেছিলেন তিনি।