বাংলার একাধিক আসনে বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, যে সাংসদরা ছিলেন তাঁদেরকেই ফের প্রার্থী করা হয়েছে। কেবলমাত্র আলিপুরদুয়ার আসনে জন বার্লাকে প্রার্থী করা হয়নি। বাকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যাঁরা আগের বার জিতেছিলেন সেখানেই তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে বিজেপির তরফে। তবে একাধিক নতুন নামও রয়েছে।
তবে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য অবশ্য় তীব্র কটাক্ষ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, প্রায় বিনা যুদ্ধে কিছু আসন তৃণমূলকে উপহার দেওয়ার জন্য বিজেপিকে অসংখ্য় ধন্যবাদ। ঠিক একই রকম বিচক্ষণতার সঙ্গে বাকি ২২টাও ঘোষণা করুন। শুভেচ্ছা রইল।
কার্যত বিজেপির প্রার্থী তালিকাকে কটাক্ষ করেছেন দেবাংশু। তবে তৃণমূল অবশ্য় এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। সেই দিক থেকে আগাম পা ফেলে দিল গেরুয়া শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় কারা থাকেন সেটাও দেখার।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৯ সালে একাধিক শক্ত আসনেও বেশ মজা করেই জিতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। এরপর সময় ক্রমশ এগিয়েছে। কিন্তু বিজেপি সাংসদদের অনেককেই সেভাবে এলাকায় সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। মাঝেমধ্যে তাঁদের একাংশের দেখা মিলেছে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই এলাকায় তাঁদের দেখা মেলেনি। জনসংযোগও তলানিতে। দলের অন্দরেই তাঁদের একাংশের বিরুদ্ধে বড় ক্ষোভ রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত কতগুলি আসনে বিজেপি সুবিধা করতে পারবে সেটাও দেখার। তবে প্রশ্ন উঠছে তবে কি সাংসদরা যাতে ভোটের মুখে বিগড়ে না যান সেকারণেই কি তাঁদের নাম বদলের রাস্তায় হাঁটল না গেরুয়া শিবির?
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেবাংশু যতই পোস্ট করুন না কেন তৃণমূল যে সর্বত্র অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন এমনটা নয়। কারণ একের পর এক দুর্নীতির জেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একেবারে খেটে খাওয়া সাধারণ মধ্য়বিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষের একাংশের ক্ষোভ চরমে। সেই ক্ষোভকে বিজেপি আদৌ কতটা কাজে লাগাতে পারে সেটাও দেখার।
তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্য়মে আলিপুরদুয়ার আসন সম্পর্কে জানিয়েছেন, পার্টি তাঁকে অন্য কাজে লাগাবে। বিধানসভা মুখ্য়সচেতক মনোজ টিগ্গাকে এবার পার্টি ওই আসনে প্রার্থী করেছে। তিনি বিপুল মার্জিনে জিতবেন।