শেষ দফার ভোটে কলকাতা ও তার লাগোয়া আসনগুলি দখল করতে পুরো দমে ঝাঁপাবে বিজেপি। মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, কলকাতার উন্নয়ন করে দেখানো হচ্ছে গোটা রাজ্য বদলে গেছে। এটা হতে পারে না।
আরও পড়ুন: এবার রাজপথে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজালেন মমতা, নেপথ্যে সেই পরেশ পাল, BJP-র প্রশ্ন কার?
পড়তে থাকুন: সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ৮ সপ্তাহ সময় দিল হাইকোর্ট
দিলীপবাবু বলেন, এবার কেন্দ্র কলকাতা। কলকাতায় সিপিএমও কোনও দিন জিততে পারেনি। তারা গ্রামের দিকে জিতে রাজনীতি করেছে। সেজন্য এখানে কংগ্রেসের গড় TMCতে ট্রান্সফার হয়ে গেছে। আমরাও ঠিক করেছি কলকাতা ও তার আসে পাশে পুরো শক্তি লাগিয়ে জিতব। তাহলে পশ্চিমবঙ্গের কিছু উন্নয়ন হবে। কলকাতার কিছু উন্নয়ন করে দেখানো হচ্ছে পুরো বাংলা পালটে গিয়েছে।
ইতিহাস বলছে স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। ১৯৬৯ সালে বামেরা কলকাতা পুরসভা দখল করে। মেয়র হন প্রশান্ত শূর। বাম জমানায় ২০০০ সাল পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা বামেদেরই দখলে ছিল। ২০০০ সালে তৃণমূল কলকাতা পুরসভা দখল করলে মেয়র হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু ৫ বছর পর ফের কলকাতা পুরসভা দখল করে বামেরা। মেয়র হন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ২০১০ সালে কলকাতা পুরসভার মসনদ ফিরে পায় তৃণমূল। মেয়র হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই থেকে ১৪ বছর কলকাতা পুরসভা তৃণমূলেরই দখলে রয়েছে। শুধু দখলে রয়েছে বললে ভুলস হবে। ১৪৪ ওয়ার্ডের কলকাতা পুরসভায় বিরোধীদের মোট সদস্য সংখ্যা ৭।
আরও পড়ুন: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আজ চার্জশিট জমা পড়ল আদালতে, দুর্নীতির অভিযোগ ইডির
বাম জমানায় লোকসভা ও বিধানসভা ভোটেও বারবার বেগ পেতে হয়েছে সিপিএমকে। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় কংগ্রেসের জনপ্রিয়তায় বামেরা চিড় ধরাতে পারেনি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌমেন মিত্রের মতো নেতারা বার বার জিতেছেন। বামেদের দাবি ছিল, শহরাঞ্চলের মানুষ হয় পুঁজিবাদী শ্রেণি প্রতিনিধি নয় পুঁজিবাদের প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী তাই বামপন্থীদের প্রতি তাদের আকর্ষণ কম। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের একাধিক পুর এলাকায় বামেদের সমর্থন কখনওই নিরঙ্কুশ ছিল না। এবার তৃণমূলের সেই দুর্গে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিজেপি?