তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন বিচারপতি। আর আজ, মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি বলে আদালত সূত্রে খবর। তাই এই মামলা চলে গিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। পরবর্তী বিচারপতি এই মামলার জন্য নির্ধারণ করবে সেই বেঞ্চ।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারে এই মামলার জন্য সমস্যা হচ্ছে। এই যুক্তি দেখিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানান বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার বিষয়টি জানান অভিজিৎ। আর মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আসলে গত ৪ মে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দেন। তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাসপাতাল মোড়ে মিছিল পৌঁছতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। কারণ সেখানেই চাকরিহারাদের নিয়ে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভ করছিল। অভিযোগ, অনশনরত শিক্ষক–শিক্ষিকাদের উপর হামলা করা হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মদতেই বিজেপির দুষ্কৃতীরা হামলা করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লাগা’, এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলকে শুভেন্দু ব্লক করতেই এল প্রতিক্রিয়া
অন্যদিকে ঠিক তার পরদিন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ময়নার তিলখোজা এলাকার প্রশান্ত দাস–সহ অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা এবং ভাঙচুর–সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়–সহ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের হয়। আর এই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিজিৎ।
এছাড়া ওই হামলার ঘটনায় অনশন মঞ্চে থাকা একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক আহত হন বলে অভিযোগ। তারপরেই অভিজিৎ–সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের হাজির হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আর আজ মঙ্গলবার মামলার শুনানি ছিল। এদিনই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন জয় সেনগুপ্ত। ঠিক কী বলেছেন বিচারপতি? এই মামলা থেকে সরে যাওয়ার সময় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে চিনি। আমি আমার তালিকা এই বিষয়টি বাদ দিচ্ছি। তবে আমি নিশ্চিত তাঁরা উচিত পদক্ষেপ করবেন।’