মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে আরও ৭ জন বিদ্রোহী নেতাকে সাসপেন্ড করল কংগ্রেস। রবিবার রাতে দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য এই সাত জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর ফলে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস এ পর্যন্ত ২৮ জন নেতাকে দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য সাসপেন্ড করল। এর আগে মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ২১ জনকে সাসপেন্ড করেছিল।
আরও পড়ুন: ভোট প্রচারে নারীর অসম্মান বরদাস্ত নয়, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিকদের কড়া বার্তা
রবিবার আরও যে ৭ নেতাকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- শমকান্ত সানার, রাজেন্দ্র ঠাকুর, আবা বাগুল, মনীশ আনন্দ, সুরেশ কুমার জেথলিয়া, কল্যাণ বোরাদে এবং চন্দ্রপল চৌকসে।আগে বরখাস্ত হওয়া নেতাদের তালিকায় রয়েছেন- আনন্দরাও গেদাম, শিলু চিমুরকার, সোনাল কোভে, ভারত ইরেমে, অভিলাশা গাভাতুরে, প্রেমসাগর গনভীর, অজয় লাঞ্জেওয়ার, বিলাস পাটিল, আসমা জাভাদ চিখলেকার, হংসকুমার পান্ডে, কমল ব্যাভারে, মোহনরাভ দান্ডেকর, মনগালভাল ভুজকার শিন্ডে, সুরেশ পাতিলখেড়ে, বিজয় খড়সে, শাবির খান, অবিনাশ লাড, যাগবাল্য জিচকার, রাজু ঝাডে, এবং রাজেন্দ্র মুখ। এইসব নেতারা নির্বাচনে মহা বিকাশ আঘাদি জোটের মনোনীত প্রার্থীদের বিরোধিতা করছেন এবং ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপরে কংগ্রেসের তরফে দল বিরোধী কাজের জন্য তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালা কিছুদিন আগেই বলেছিলেন যে মহা বিকাশ আঘাদির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এই সব নেতারা ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড থাকবেন।
কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এসসিপি)- এর জোট হল মহা বিকাশ আঘাদি। তারা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা, বিজেপি এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপির জোটের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্রসঙ্গত, ২৮৮ টি আসন সংখ্যা বিশিষ্ট মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন একটি ধাপেই সম্পন্ন হবে। আগামী ২০ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হবে। আর ফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর। উল্লেখ্য, রাজ্যটিতে ২০১৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১২২ টি আসন। শিবসেনা ৬৩ টি এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ৪২ টি আসন। ২০১৯ সালে বিজেপির আসন সংখ্যা নেমে আসে ১০৫টিতে। শিবসেনা পেয়েছিল ৫৬ টি এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপিও মঙ্গলবার দলবিরোধী জন্য ৩৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৪০ জন নেতা ও পদাধিকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে।