ভোটমুখী ঝাড়খণ্ড। তার আগে ইস্তেহার প্রকাশ করল বিজেপি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। তিনি বিজেপির সেই সঙ্কল্প পত্র উন্মোচন করেন। তিনি বেশ জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন, এই ভোট সরকারের পরিবর্তনে বড় ভূমিকা নেবে।
তিনি জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎ নির্ধারনে এই ভোট অত্য়ন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। এটা একটা বড় মুহূর্ত। তিনি বলেন, এটা কেবলমাত্র একটা ভোট নয়। সরকার বদলের ভোট নয়। এটা ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎ ঠিক করার ভোট। ঝাড়খণ্ডের মানুষকেই ঠিক করতে হবে তাঁরা কি দুর্নীতিতে ডুবে থাকা একটা সরকারকে বেছে নেবেন নাকি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে উন্নয়নের জন্য একটা সরকারকে বেছে নেবেন। তারা কি সেই সরকারকে বাছবেন যারা তাদের জমিকে অসুরক্ষিত রাখে, নারী সুরক্ষাকে বিঘ্নিত করে অনুপ্রবেশকে উসকানি দেয়, নাকি তারা বিজেপি সরকার চায় যারা সীমান্তের সুরক্ষাকে সবার আগে অগ্রাধিকার দেয়। ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন. সঙ্কল্পপত্রের সূচনা করা হয়েছে। আমাদের দলের সঙ্গে অন্য দলের অনেকটাই ফারাক রয়েছে। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিই সেটা রক্ষা করার চেষ্টা করি। যখন ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসে আমরা সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।
তিনি হেমন্ত সোরেন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী মানুষের সংখ্য়া ক্রমেই কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা আসছে দলে দলে। আমাদের মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছে। তাদের জমি দখল করছে। এটা যদি বন্ধ করা না যায় তবে ঝাড়খণ্ডের পরিচিতি, তাদের সংস্কৃতি, কাজের সুযোগ, জমির অধিকার, মেয়েদের সুরক্ষা কোনওটাই রক্ষা করা যাবে না। সেকারণেই বিজেপি এই স্লোগান তুলছে রোটি, বেটি আর মাটি। জানিয়েছে শাহ।
সেই সঙ্গেই রাঁচির জনসভায় অমিত শাহ জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করবে বিজেপি। তবে আমি আশ্বস্ত করছি জনজাতিদের এর বাইরে রাখা হবে। সেই সঙ্গেই অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, জেএমএম সরকারি মিথ্যা প্রচার করছে যে ইউসিসি এলে জনজাতিদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে গোটা দেশজুড়েই নানা চর্চা। এই বিধি চালুর ব্যাপারে এর আগেও সওয়াল করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এবার ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে এনিয়ে রীতিমতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিলেন অমিত শাহ। তবে তিনি এই প্রসঙ্গে জনজাতিদের বাদ রাখার কথাও জানিয়েছেন।