উত্তরপূর্বের ছোট্ট রাজ্য মণিপুর জাতীয় রাজনীতির নিরিখে নগণ্য মনে হতে পারে। তবে গোটা উত্তরপূর্ব জুড়ে বিজেপির দাপট বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরপূর্বে কংগ্রেসকে হটিয়ে ধীরে ধীরে জমি শক্ত করে বিজেপি। পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজের ক্যারিশ্মা চালিয়েছেন। এই আবহে মণিপুরে এবার বিজেপি একা লড়াই করছে। আর তাতেই বাজিমাত পদ্ম শিবিরের। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি৷ মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জিতেছেন তাঁর নিজের কেন্দ্রে৷ এদিকে কংগ্রেসের ফল এই রাজ্যে খুব একটা ভালো ছিল না৷ কংগ্রেস এই রাজ্যে মাত্র পাঁচটি আসনে জিতেছে৷ এদিকে মণিপুরে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স ২টি, নাগা পিপলস ফ্রন্ট পাঁচটি (৮.১৬ শতাংশ ভোট) এবং ন্যানশনালস পিপলস পার্টি আটটি (১৭.২৫ শতাংশ ভোট) আসনে জিতেছে৷ এদিকে বিজেপি এই রাজ্যে প্রথমবার একক শক্তিতে সরকার গঠন করতে চলেছে। এই রাজ্যে বিজেপি ৩৭.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে (৩১ আসন)। অপরদিকে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১৬.৮ শতাংশ।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি৷ মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জিতেছেন তাঁর নিজের কেন্দ্রে৷ এদিকে কংগ্রেসের ফল এই রাজ্যে খুব একটা ভালো ছিল না৷ কংগ্রেস এই রাজ্যে মাত্র পাঁচটি আসনে জিতেছে৷ এদিকে মণিপুরে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স ২টি, নাগা পিপলস ফ্রন্ট পাঁচটি (৮.১৬ শতাংশ ভোট) এবং ন্যানশনালস পিপলস পার্টি আটটি (১৭.২৫ শতাংশ ভোট) আসনে জিতেছে৷ এদিকে বিজেপি এই রাজ্যে প্রথমবার একক শক্তিতে সরকার গঠন করতে চলেছে। এই রাজ্যে বিজেপি ৩৭.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে (৩১ আসন)। অপরদিকে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১৬.৮ শতাংশ।
২২ বছরের খড়া কাটাল JD(U)
এই নির্বাচনে মোট ৩৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জেডিইউ৷ নির্বাচন ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত জেডিইউর সেই অর্থে অস্তিত্ব ছিল না মণিপুরে৷ তবে বেশ কিছু দলের বিক্ষুব্ধদের নিয়ে লড়াই কড়ে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছটি আসনে জয় পেল জেডিইউ।
‘জনগণকে ধন্যবাদ’
আমি মণিপুরের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আমাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা আমাদের পথ দেখিয়েছেন, এবং সেই কারণেই আমরা মণিপুরে জয়ী হয়েছি। গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে বিজয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ' মন্ত্র দেখায়: মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং
কর্মীদের সঙ্গে নাচলেন মুখ্যমন্ত্রী
ইম্ফলে বিজেপি রাজ্য সদর দফতরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং।
মুখ্যমন্ত্রী কে?
ভোটে জিতে এম বীরেন সিং বলেন, ‘আমরা সরকার গঠনের দাবি করার জন্য সময় নেব, পূর্ণ ফলাফল বের হতে দিন। আমাদের জাতীয় নেতারা মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মন্ত্রে মনোনিবেশ করব।’
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী বিজেপি এগিয়ে ১৯ আসনে
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ফল :বিজেপি - ১৯ আসনে এগিয়ে (ভোট শতাংশ - ৩৮.৩)কংগ্রেস- ৪ আসনে এগিয়ে (ভোট শতাংশ - ১৭.৮)ন্যাশনাল পিপলস পার্টি - ৯ আসনে এগিয়ে (ভোট শতাংশ - ১৫.৮৩)নাগা পিপলস ফ্রন্ট - ৪ আসনে এগিয়ে (ভোট শতাংশ - ৮.৯৮)জনতা দল ইউনাইটেড - ৩ আসনে এগিয়ে (ভোট শতাংশ - ১০.৯৮)
বিজেপি মণিপুরে এগিয়ে ২৬টি আসনে
বিজেপি মণিপুরে এগিয়ে ২৬টি আসনে। এই রাজ্যে ম্যাজিক ফিগার ৩১। কংগ্রেস এই রাজ্যে মাত্র ৯টি আসনে এগিয়ে।
আসনগুলিতে এগিয়ে
কংগ্রেস যে আসনগুলিতে এগিয়ে- থৌবাল, ওয়াবগাই, ল্যাংথাবল, খঙ্গাবোক, খুন্দ্রাকপাম
মণিপুরে দুটি আসনে এগিয়ে জেডিইউ
জেডি(ইউ) প্রাথমিক ভাবে যে আসনগুলিতে এগিয়ে - থাংমেইবন্দ, সেকমাই
যে আসনে এগিয়ে বিজেপি
বিজেপি প্রাথমিক ভাবে যে আসনগুলিতে এগিয়ে – খুরাই, হাররোক, চান্দেল, হেনগাং, ফুঙ্গিয়ার, সাগোলবন্দ, থেঙ্গা, কাংপোকপাই, লিলং, নিম্বোল
'বিজেপি পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে'
আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি, যাতে আগামী পাঁচ বছর শান্তি ও উন্নয়নের ধারা বজায় থাকে মণিপুরে। বিজেপি পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে: মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং
এগিয়ে গেলেন বীরেন সিং
হেইঁগং কেন্দ্র থেকে এগিয়ে বিজেপির প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম বীরেন সিং।
মণিপুরে এগিয়ে গেল বিজেপি
প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা গিয়েছে যে বিজেপি মণিপুরে এগিয়ে ৮টি আসনে। কংগ্রেস জোট মাত্র তিনটি আসনে এগিয়ে পোস্টাল ব্যালট গণনায়।
কী বলছে এক্সিট পোল
এক্সিট পোলগুলি বেশিরভাগই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে বিজেপি মণিপুরে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসবে। ৬০ আসনের বিধানসভার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ মার্চ, দুটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা - ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এবং নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ) - এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী।
বিতর্ক প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
মণিপুরের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা (সিইও) রাজেশ আগরওয়াল বলেছিলেন যে রাজ্য সরকার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে অর্থ প্রদান করে এমসিসি লঙ্ঘন করেনি। তাঁর কথায়, যারা অপারেশন স্থগিত ঘোষণা করেছে সেই গোষ্ঠীগুলিকেই অর্থ প্রদান করা হয়েছে। সিইওর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেহেতু এমসিসি নির্বাচনের ঘোষণা এবং প্রয়োগের আগে সুবিধাভোগীদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং অনুমোদন করা হয়েছিল, তাই মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমসিসির কোনও লঙ্ঘন হয়নি।
নিষিদ্ধ গোষ্ঠীগুলিকে অর্থ প্রদান নিয়ে বিতর্ক
নির্বাচন কমিশন বলে যে মণিপুরে নিষিদ্ধ গোষ্ঠীগুলিকে অর্থ প্রদান আদর্শ আচরণবিধির (এমসিসি) লঙ্ঘন নয়। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ মার্চ কংগ্রেস বলে যে তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে৷ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন যে তিনি কমিশনের আদেশে হতবাক। তাঁর প্রশ্ন, মণিপুর সরকার এবং কেন্দ্রের দ্বারা নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে অর্থপ্রদান এমসিসির লঙ্ঘন নয় কীভাবে এবং অভিযোগ করেছেন যে এটি নির্বাচনকে 'খুন' করার সামিল।
পাঁচ রাজ্যের ভোটের লাইভ আপডেট
মণিপুর ছাড়ও আজ আরও চারটি রাজ্যে ভোট গণনা। সেই রাজ্যের ফলের লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে
মণিপুরের প্রভাব উত্তরপূর্বের বাকি রাজ্যগুলিতে
আর্মড ফোর্সেস (স্পেশাল পাওয়ার) অ্যাক্ট, ১৯৫৮ (AFSPA) বাতিল করার জন্য উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিতে জোরালো আন্দোলন শুরু করেছে। নাগাল্যান্ডে সেনার গুলিতে ১৪ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর পর থেকেই এই আন্দোলনের পটভূমি তৈরি হয়েছে এবং এর ফলে উত্তরপূর্বের রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে গিয়েছে। মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বের দুটি রাজ্য আগামী বছরের শুরুতে বিধানসভা নির্বাচনে যাবে৷