বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > Meghalaya Assembly Election 2023: মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটে কি ঝড় তুলবে তৃণমূল? নজরে কয়েকটি ফ্যাক্টর

Meghalaya Assembly Election 2023: মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটে কি ঝড় তুলবে তৃণমূল? নজরে কয়েকটি ফ্যাক্টর

মেঘালয় বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)

মেঘালয়ের ভোটপর্বে মূলত যে ফ্যাক্টরগুলি কার্যকর রয়েছে, তা হল শাসক বিরোধী হাওয়া। বলা হচ্ছে, মেঘালয়ের রাজনীতিতে বহুবার ভোটে প্রকট হয় শাসকবিরোধী হাওয়া। এই মুহূর্তে কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন এনপিপি সরকার দুর্নীতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার খারাপ অবস্থা, বেকারত্বের মতো চ্যালেঞ্জে জর্জরিত।

মেঘালয়ের রাজনীতিতে ২০২৩ ভোটে সম্ভবত কাঁটে কি টক্কর দেখা যেতে চলেছে দুই সাংমার মধ্যে। একদিকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা অন্যদিকে, রাজ্যের দাপুটে নেতা তথা তৃণমূলের রাজ্যপ্রধান তথা কনরাড সাংমার পুরনো বিরোধী মুকুল সাংমা। স্বপ্নসুন্দর এই রাজ্যের রাজনৈতিক ক্যানভাসে এবারের ভোট কার্যত তৃণমূলের কাছে লিটমাস টেস্ট। কারঁ মেঘালয়ের রাজনীতিতে তাঁদের নয়া এন্ট্রি কতটা জোরদার হচ্ছে, তার জবাব দেবে এই ভোটের ফলাফল।

মেঘালয়ের ভোটে ভোট ফ্যাক্টর:

মেঘালয়ের ভোটপর্বে মূলত যে ফ্যাক্টরগুলি কার্যকর রয়েছে, তা হল শাসক বিরোধী হাওয়া। বলা হচ্ছে, মেঘালয়ের রাজনীতিতে বহুবার ভোটে প্রকট হয় শাসকবিরোধী হাওয়া। এই মুহূর্তে কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন এনপিপি সরকার দুর্নীতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার খারাপ অবস্থা, বেকারত্বের মতো চ্যালেঞ্জে জর্জরিত। ফলে এই ইস্যুগুলি সেখানে শাসক বিরোধী একটি প্রেক্ষাপট তৈরিতে বিরোধীদের হাতিয়ার হচ্ছে। এছাড়াও মেঘালয়, অসম সীমান্ত সংঘাত এবারের ভোটে বড়সড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে শুরু করছে। সেখানে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের সমস্যাগুলি মেঘালয়ের ২০২৩ বিধানসভা ভোটে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও এই ভোটে মেঘালয়ের রাজনীতির অস্থিরতা খুবই প্রাসঙ্গিত হতে পারে। উল্লেখ্য, যে কনরাড সাংমা বর্তমানে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী,তিনি তাঁর পার্টিকে নিয়ে ২০১৮ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মেঘালয়ে লড়েছেন। এবার সেই বিজেপির বিরুদ্ধে পরের মাসেই ভোটে নামছেন কনরাড সাংমা ও তাঁর পার্টি এনপিপি।

২০১৮ সালে মেঘালয়ে ভোটের ফলাফল:

২০১৮ সালের ভোটে ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভা ভোটে মুকুল সাংমার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ছিল। জিতে ছিল ২১ টি আসন। এনপিপি জিতেছে ১৯ টি আসন, ইউডিপি জিতেছিল ৮টি,  পিডিএএফ ৪টি, বিজেপি ২ টি আসন দখলে রেখেছিল। একজন নির্দল জিতেছিলেন। এরপর ২০২১ সালে মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১২ জন বিধায়ক যোগ দেন তৃণমূলে। বাকি কংগ্রেস বিধায়করা এনপিপিতে যোগ দেন। ফলে সম্পূর্ণ ব্যাকফুটে চলে যায় কংগ্রেস। 

ফোকাসে কোন ইস্যু?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেঘালয়ের ভাগ্য নির্ধারণে দুর্নীতি বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। জয়ন্তিয়া, খাসি, গারো পাহাড়ি উপত্যকায় এই দুর্নীতি ইস্যু খুবই বড় আকার নিচ্ছে। এদিকে, কংগ্রেসের ভাঙনে লাভের গুড় পেতে পারে বিজেপি, এমনই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তারই মধ্যে মুকুল সামার মতো দাপুটে নেতাকে সঙ্গে নিয়ে মমতা ক্যাম্প শিলং দখলে মুখিয়ে রয়েছে। সেই জায়গা থেকে মেঘালয়ে ফেব্রুয়ারির ২৭ তারিখে বেশ খানিকটা টানচান উত্তেজনায় সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

 

 

 

 

বন্ধ করুন