রাত পোহালেই উত্তরাখন্ডে নির্বাচন। প্রচারের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। তবে এবারের ভোটে সেখানকার উদ্বাস্ত বাঙালিরাও অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি। উদ্বাস্তু বাঙালি অধ্যুষিত ইউএস নগর এলাকায় কার্যত মাটি কামড়ে এতদিন পড়েছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় মতুয়া ভোটকে এককাট্টা করতে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও এলাকায় প্রচার করেছেন। শনিবার সেই রুদ্রপুরে প্রচারে এসেও উদ্বাস্তু বাঙালিদের মন ভেজানোর চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখানকার অনেকেই পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসে এখানে ঠাঁই নিয়েছিলেন। তাঁদের ভোটকে বিজেপিমুখী করাটা এবার গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
শনিবারের জনসভা থেকে মোদী বলেছিলেন, 'বহু বাঙালি পরিবার এখানে বসবাস করেন। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সরকারকে অভিনন্দন জানাতে চাই আমি। তারা পুনর্বাসন পাওয়া বাঙালিদের জাতিগত শংসাপত্র থেকে পূর্ব পাকিস্তান শব্দটি বাদ দিয়েছেন।' এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই শিকড় ছিঁড়ে আসা বাঙালিদের জাতিগত শংসাপত্রে এতদিন পূর্ব পাকিস্তানের উদ্বাস্তু কথাটি লেখা থাকত। সেই শব্দ বাদ দেওয়ার জন্য স্থানীয় বাঙালিরা বার বার দরবার করেছিলেন সরকারের কাছে। তবে বর্তমানে সেই শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকা খটিমা কেন্দ্রটিও এই উধম সিংহ নগর জেলার মধ্যে পড়ে। রুদ্রপুরের পাশাপাশি গদরপুর ও সিতারগঞ্জেও প্রচুর বাঙালি বাস করেন। তাঁরা কতটা বিজেপির পাশে থাকলেন তা আগামী দিনেই পরিষ্কার হবে।