একদিন আগেই অমিত শাহ এসে ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তোপ দেগেছিলেন শাসত জেএমএম, কংগ্রেসকে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আজ বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে সরকারপক্ষ। প্রধনমন্ত্রী বলেন, 'তোষণার রাজনীতিকে চরমে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্যে এদের গোটা রাজ্যে বসবাসের জন্যে জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল।' (আরও পড়ুন: UP-তে মহিলাকে যৌনাঙ্গ দেখিয়ে বিপাকে কংগ্রেস নেতা! কী বলছে জোটসঙ্গী SP?)
আরও পড়ুন: 'লাল রেখা পার...', কানাডার মন্দিরে খলিস্তানি হামলায় সরব ট্রুডোর দলেরই সাংসদ
আরও পড়ুন: মাদ্রাসে দাদুর থেকে গণতন্ত্রের জন্যে লড়াইয়ের গুরুত্ব শিখেছি: কমলা হ্যারিস
এরপর তিনি আরও বলেন, 'পরিস্থিতি এখানে এমন হয়ে গিয়েছে যে সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপদ কতটা বড়। যখন উৎসবে পাথর ছোঁড়া হয়, দুর্গা মাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কার্ফু জারি করা হয়, তখন জানা যায়, যে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর। মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে প্রতারণা হচ্ছে। তখন বুঝতে হবে, জল মাথার ওপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে। যখন অনুপ্রবেশের মামলা আদালতে যায়, কিন্তু প্রশাসন সেটা অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গিয়েছে।' (আরও পড়ুন: AQI ১৯০০ পার, লাহোরের বাতাসে 'বিষ'! ভারতকে 'দুষল' পাকিস্তান)
আরও পড়ুন: ৫০০ কোটি খরচের ঘোষণা মন্ত্রীর, কেন্দ্রের থেকে বেশি ডিএ বাড়ল রাজ্যে
আরও পড়ুন: খলিস্তানি তাণ্ডবের পর কানাডার শহরে প্রার্থনাস্থলের সামনে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ হবে?
উল্লেখ্য, গতকাল ঝাড়খণ্ডে ভোট প্রচারে গিয়ে বাংলার উদাহরণ তুলে ধরে অমিত শাহ বলেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। কারণ সেখানে স্থানী প্রশাসনই অনুপ্রবেশে মদত দেয়। ঝাড়খণ্ডেও একই কারণে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন এখানেও অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এখানে বিজেপি সরকার গঠন হলে দলের নেতা-কর্মী থেকে মুখ্যমন্ত্রী, সবাই অনুপ্রবেশ আটকাবেন। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে দেশ থেকে।' শাহ আরও বলেছিলেন, 'সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী মানুষের সংখ্য়া ক্রমেই কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা আসছে দলে দলে। আমাদের মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছে। তাদের জমি দখল করছে। এটা যদি বন্ধ করা না যায় তবে ঝাড়খণ্ডের পরিচিতি, তাদের সংস্কৃতি, কাজের সুযোগ, জমির অধিকার, মেয়েদের সুরক্ষা কোনওটাই রক্ষা করা যাবে না। সেকারণেই বিজেপি স্লোগান তুলছে - রোটি, বেটি আর মাটি। ঝাড়খণ্ডে নারী নির্যাতনকারী অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।'
অপরদিকে বিজেপির এই অনুপ্রবেশের তত্ত্বের পালটা তোপ দেগেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর কথায়, 'বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির তলে তলে কোনও চুক্তি আছে কি না, আমি তা জানতে চাই। অনুগ্রহ করে আমাদের জানানো হোক, কীসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের মাটিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নিজেই বলছে, তাদের শাসিত রাজ্য দিয়েই অনুপ্রবেশকারীরা আসছে ভারতে।'