প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল গুজরাটের জনগণের উদ্দেশে এক বিশেষ বার্তা দেন। মোদী বলেন, ‘যারা গুজরাটকে গালি দেয় এবং গুজরাটিদের অপমান করে চলে, তাদের পাঠ শেখানোর উচিত।’ মনে করা হচ্ছে, নাম না করে আম আদমি পার্টি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তোপ দেগেই এই বার্তা দেন মোদী। উল্লেখ্য, এর আগে গুজরাটে এসে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে প্রশাসন নিয়ে বহু অভিযোগ করেছিলেন কেজরি। এই আবহে গুজরাটের মাটিতে দাঁড়িয়ে পালটা বার্তা দিলেন মোদী। এদিকে, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতারাও বিভিন্ন ইস্যুতে বলে থাকেন, ‘বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না।’ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে গুজরাটকে বিভিন্ন সময় তোপ দেগেছে বাংলার শাসকদল।
সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের জুনাগড় শহরে এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল মনে করে গুজরাট ও গুজরাটিদের গালি না দিলে তাদের কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যারা গুজরাটকে গালি দেয় এবং গুজরাটিদের অপমান করে চলে, তাদের পাঠ শেখানোর উচিত।’ প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘যারা গুজরাটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে তাদের কি ক্ষমা করা উচিত?’
উল্লেখ্য, এর আগে বাংলার নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে বিজেপি নেতারা উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাকে গুজরাট বানিয়ে দেওয়া হবে।’ এর দবাবে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, ‘গুজরাটে পরিণত হতে দেব না বাংলাকে।’ বাঙালি আবেগে শান দিয়ে বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়েছিল তৃণমূল। এই গুজরাট উপমা নিয়ে দুই দলের কথা কাটাকাটি চরমে উঠেছিল। আর এবছর গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই আবহে গুজরাটি আবেগে শান দিয়ে নিজের ভোটার বেসকে পোক্ত করতে চাইছেন মোদী। এই কারণেই বিরোধীদের ‘গুজরাট-বিরোধী’ উক্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মমতার বইয়ের অধ্যায় থেকে পাঠ নিয়ে নিজের রাজ্যে বিরোধীদের তোপ দাগলেন মোদী।