লোকসভা ভোটের আগে দিনভর ‘ফুলফর্ম’ নিয়ে লড়াই চলল। বিকেলে ‘ইন্ডিয়া’ নাম বেছে নিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দেয় বিরোধী জোট। কয়েক ঘণ্টা পরেই এনডিএয়ের 'ফুলফর্ম' বের করে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী নেতারা যখন নয়া জোটের পুরো নাম দেন ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স'। অর্থাৎ সংক্ষেপে সেই জোটের নাম দাঁড়াচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA)। সেই নাম নিয়ে জাতীয়তাবাদের ভাবাবেগের উপর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের যে কার্যত একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল, তা কমানোর চেষ্টা করেন বিরোধী নেতারা। যদিও থেমে থাকেননি মোদী। জোটসঙ্গী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘এন হচ্ছে নিউ ইন্ডিয়া (নয়া ভারত), ডি হল ডেভেলপড নেশন (উন্নত দেশ), এ হচ্ছে অ্যাসপিরেশন অফ পিপল এবং রিজিয়ন (মানুষ এবং বিভিন্ন অঞ্চলের আকাঙ্খা)।’
মোদী যেদিন সেই কথা বলেন, সেদিনই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের দু'দিনের বৈঠক শেষ হয়েছে। সেই বৈঠকের দিনেই এনডিএয়ের জোটসঙ্গী বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় জেপি নড্ডারা। বৈঠকের শেষে কোনও কৃতিত্ব তুলে ধরার ক্ষেত্রে পৃথকভাবে বিজেপির নাম উচ্চারণের পথে হাঁটেননি মোদী। বরং আগাগোড়া এনডিএ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘(এনডিএয়ের) এই ২৫ বছরের যাত্রার সঙ্গে আরও একটি কাকতালীয় বিষয় জড়িয়ে আছে। আগামী ২৫ বছরে বড় লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এই সময় দেশ বড় পদক্ষেপ করছে। সেই লক্ষ্যটা হল উন্নত ভারতের, আত্মনির্ভর ভারতের।’
কী কী বললেন মোদী?
১) মোদী: এনডিএয়ের তৃতীয় দফায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে ভারত।
২) মোদী: আমরা বিরোধী আসনে ছিলাম, তখনও আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করতাম। দেশের সরকারের বিরোধিতার জন্য বিদেশি সহায়তা চাইনি আমরা। আমরা বিরোধী আসনে থাকতাম। কিন্তু কখনও দেশের উন্নয়নের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। দেশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াইনি আমরা।
৩) মোদী: রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকত পারে। কিন্তু শত্রুতা থাকা উচিত নয়। দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমানে আমাদের গালিগালাজ করে নিজেদের পরিচিতি তৈরির চেষ্টা করছে বিরোধীরা। আমরা সবসময় রাজনৈতিক স্বার্থের উপরে দেশকে রেখেছি।
৪) মোদী: দেশের বিভিন্ন বিরোধী রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের চালু করা হয় না। আমি বারবার চিঠি লিখলেও কাজে দেয় না। কারণ বিরোধীরা মনে করেন যে কেন্দ্রের প্রকল্প চালু করলে এনডিএ সরকার তো মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে যাবে।
৫) মোদী: কেরলে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে ঝামেলা চলছে। আর বেঙ্গালুরুতে শীর্ষনেতারা হাত মেলাচ্ছেন। আবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন বাম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা। আর বেঙ্গালুরুতে শীর্ষনেতারা হাত মিলিয়ে বসছেন। নীচুতলার কর্মীরা পুরো দোটানায় পরে গিয়েছেন।